জানা অজানা
টুপির দেশ
তপন কুমার বৈরাগ্য
নতুনপাতা
পশ্চিম আফ্রিকার আটলান্টিক মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত নাইজেরিয়া দেশটা অবস্থিত।
এটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।এর সরকারী নাম নাইজেরিয়া যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র।
দেশটির রাজধানীর নাম আবুজা।সরকারী ভাষা ইংরাজী। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় পঁচিশ
কোটি।নাইজেরিয়ার ঐতিহ্যবাহীজিনিস হলো এখানকার তৈরি টুপি।এক একটা টুপি তৈরি করতে এখানকার কারিগরদের বহু পরিশ্রম ঔ চিন্তা করতে হয়।এমন অনেক টুপি আছে যার নকশা তৈরি করতে পাঁচ বছরের অধিক সময় লাগে।এখানকার মানুষেরা বিভিন্ন উৎসবে বিভিন্ন ধরনের টুপি পরে।এখানকার সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এখানকার টুপি।বিশ্বের সবদেশেই
প্রায় এখানকার টুপি রপ্তানি করা হয়।এই দেশের নারী পুরুষেরা প্রায় সকলেই টুপি
ব্যবহার করেন।বিশ্বের কোনো দেশের মানুষই এমন ঐতিহ্যবাহী,নকশাকরা,দামী টুপি
পরিধান করে না। এখানকার অনেক মানুষই টুপি তৈরি করে জীবিকানির্বাহ করেন।
কেউ কেউ হাতসেলাইয়ের মাধ্যমে টুপি তৈরি করেন।আবার কেউ কেউ সেলাই মেশিনের
মাধ্যমে টুপি তৈরি করেন।এখানকার উল্লেখযোগ্য টুপিগুলির নাম ব্ল্যাককটন
নাইজেরিয়ান ওমা,নাইজেরিয়ান মুসলিম ক্যাপ,নাইজেরিয়ান ওয়েডিং হ্যাট,
নাইজেরিয়ান গ্রুম ক্যাপ। এখানকার মানুষেরা পোষাকের সাথে সামঞ্জস্য রেখে
টুপি তৈরি করেন।এই টুপিগুলির মধ্যে নিজস্ব মৌলিকতা আছে।যার মধ্যে দিয়ে
তাঁদের আভিজাত্য ফুটে ওঠে। তাঁতের কাপড়, মখমল এবং বিভিন্ন উপাদানের
উপর নকশা করে এখানকার কারিগররা টুপি তৈরি করে।বংশপরম্পরায়
তাঁরা এই কাজের সাথে যুক্ত।এখানকার টুপির একটা নিজস্ব মৌলিকতা
আছে।এখানকার টুপির মতন আভিজাত্যপূর্ণ টুপি পৃথিবীর কোনো দেশই
তৈরি করতে পারেনা। বিদেশের বাজারে এখানকার টুপির ব্যাপক চাহিদা আছে।
এখানকার টুপি যুগ যুগ ধরে এখানকার সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে।
তাই নাইজেরিয়াকে টুপির দেশ বলা হয়।
Comments :0