মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ দুর্নীতিতে এসএসসি’র চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। এদিকে সোমবার থেকে ২৪ ঘণ্টার ধর্মতলায় প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকারা। চাকরি বাঁচাতে ১১দিন ধরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধর্নায় বসে রয়েছেন প্রায় একহাজার কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা।
‘২০১৬ যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’র ২০জন শিক্ষক-শিক্ষিকা সোমবার সকাল ১০ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন করছেন। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানির তালিকায় এই মামলাটি ১নম্বরে রয়েছে। বেলা সাড়ে দশটার সময় শুনানি শুরু হওয়ার কথা। গত ১৯ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়েছে। সেদিন যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করার জট ছাড়ানোর কোনও উপায় সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে পারেনি রাজ্য সরকার এবং এসএসসি। শীর্ষ আদালত এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি দীর্ঘ সময় ধরে শুনেছে। বারে বারে একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে মূল তালিকা থেকে বাছাই হবে কী করে?
এই শুনানির সময়ই রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন করেন, ‘‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়, ইয়ে সব কুছ কালা হ্যায়।’’ অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক করা যাবে না এই প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টেও উঠেছে। হাইকোর্ট বলেছিল যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব নয়। শুনানির সময় শীর্ষ আদালত একই সুরে কলকাতা হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণকে সামনে এনেছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, আমাকে বলতে হবে, কলকাতা হাইকোর্ট যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব নয় কেন বলেছিল। বিচারপতি খান্না বলেছেন কলকাতা হাইকোর্ট কেন এমন পর্যবেক্ষণে উপনীত হয়েছে তা আমাকে বোঝাতে হবে।
এদিকে, সুবিচারের দাবিতে কলকাতার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় রয়েছেন। তাঁরাই মাথা ন্যাড়া করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তঁরা বিকাশভবনে ডেপুটেশন দিয়েছেন। তাঁদের দাবি একটাই, রাজ্য সরকার এবং এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা পেশ করে তাদের এই মামলা থেকে এবং এই অনিশ্চিত পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিক। যাতে স্বসম্মানে আবার নিজের চাকরিতে ফিরতে পারে তার ব্যবস্থা করুক। অবস্থানরত শিক্ষক, শিক্ষিকাদের বক্তব্য, বাগ কমিটি বা সিবিআই-র রিপোর্টে কোথাও যখন তাঁদেরকে অযোগ্য তালিকায় ধরা নেই ৷ তাদের বক্তব্য দেশের আইন বলে, দশ জন অপরাধী শাস্তি পেলে পাক, কিন্তু একজন নির্দোষ যেন সাজা না পায়। শিক্ষক শিক্ষিকাদের মূল দাবি যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই করা আশু প্রয়োজন। এরজন রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে দায়িত্ব নিয়ে শীর্ষ আদালতকে জানাতে হবে প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে কারা চাকরি পেয়েছেন, কারা ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন। যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা শীর্ষ আদালত জমা দিয়ে এই মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে।
teachers hunger strike
আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, ১১ দিন ধরনার পর অনশনে বসলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা
×
Comments :0