৬ জানুয়ারি সোমবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় আল-ফান্ডুক গ্রামের কাছে কেদুমিমের অবৈধ বসতির কাছে বন্দুক হামলায় অন্তত তিন ইজরায়েলি বসতি স্থাপনকারী নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
তিন প্যালেস্তিনীয় প্রতিরোধ যোদ্ধা বসতির কাছে একটি জাতীয় সড়কে চলাচলকারী একটি বাস ও দুটি গাড়িতে গুলি চালায় বলে জানা গেছে। যোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার পরে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী (আইওএফ) আক্রমণস্থলে বিপুল সংখ্যক কর্মী মোতায়েন করে। আল-ফান্ডুক-এ অতিরিক্ত সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়, যেখানে তারা গ্রাম এবং এমনকি পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে নজরদারি ক্যামেরায় রেকর্ড করা ফুটেজসহ প্রমাণের সন্ধান করছে।
রবিবার, ৫ জানুয়ারী, এক প্যালেস্তিনীয় মেয়ে মধ্য অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার পশ্চিমে দেইর কাদ্দিস শহরে প্রবেশকারী বেশ কয়েকজন অবৈধ ইজরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে ছুরি দিয়ে হামলা করার চেষ্টা করেছিল। যদিও কিছু সংবাদমাধ্যম এই হামলায় একজন ইজরায়েলি মহিলা আহত হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিল, তবে ইজরায়েলি মিডিয়া বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
বুধবার, ১ জানুয়রী, একজন ইজরায়েলি সৈন্য আহত হয়, যখন একজন প্যালেস্তিনীয় ব্যক্তি দেইর কাদ্দিস গ্রামের কাছে তার গাড়ি দিয়ে বেশ কয়েকজন সৈন্যকে আঘাত করার চেষ্টা করে।
ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্যালেস্তিনীয়দের লড়াইয়ের অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের মধ্যে পশ্চিম তীরে এই তিনটি হামলা হয় কয়েকদিনের ব্যবধানে। ২০২৫ সালের প্রথম সপ্তাহে সংঘটিত তিনটি হামলার কোনোটিরই দায় স্বীকার করেনি কোনো প্রতিরোধ গোষ্ঠী বা আন্দোলন।
স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ইজরায়েলি কারাগারে প্রাক্তন বন্দী ওমর আসাফ সাম্প্রতিক প্রতিরোধ অভিযান সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনা জানিয়েছেন। আসাফ মন্তব্য করেন যে ‘‘এই অভিযানগুলি গাজা স্ট্রিপে ইজরায়লের ১৫ মাসের গণহত্যার আগ্রাসনের প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে ঘটেছে’’।
ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স মুভমেন্ট (হামাস), ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট এবং পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) সহ প্যালেস্তাইণের আন্দোলনগুলি পশ্চিম তীরে সাম্প্রতিক প্রতিরোধ অভিযানের প্রশংসা করেছে।
এদিকে, ইজরায়েলি কর্মকর্তারা পশ্চিম তীরে হিংসা বাড়িয়ে এটিকে আরেকটি গাজায় পরিণত করার হুমকি দিয়ে অভিযানের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে স্মোট্রিচ বলেন, ‘আল-ফান্ডুক, নাবলুস ও জেনিনকে গাজার জাবালিয়ার মতো দেখতে করে দেওয়া হবে’।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ২০ জানুয়ারির আগে হামাস বন্দীদের মুক্তি না দিলে ‘নরকে পাঠানো হবে’ প্যালেস্তিনীয়দের। মার্কিন বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনার অবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
Comments :0