কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) ‘ইন্ডিয়া দি মোদী কোয়েশ্চন’ (The Modi Question)দেখানোর সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিল কর্তৃপক্ষ। এমনটাই অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের। প্রথম ৩০ মিনিট দেখানোর পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ থাকলেও যেখানে তথ্যচিত্রটি দেখানো হচ্ছিল সেখানে বিদ্যুৎ নেই।
দু’দিন আগেই এসএফআই’র তরফে জানানো হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্সির ব্যাডমিন্টন কোর্টে (Badminton Court) ‘ইন্ডিয়া দি মোদী কোয়েশ্চন’ দেখানো হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই সেখানে দেখানো নিয়ে যান্ত্রিক সমস্যায় সম্মুখীন হতে হয় পড়ুয়াদের। পরে সিদ্ধান্ত হয় যে কমনরুমে দেখানো হবে। সেই মতো শুরু হয়েছিল স্ক্রিনিং। কিন্তু প্রথম ৩০ মিনিট চলার পরেই শুরু হয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই নেই কোনও উচ্চতর আধিকারিক। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কাটানোর কোনও উপায় নেই ছাত্রদের কাছে। এসএফআই’র (SFI) সরাসরি অভিযোগ, ইচ্ছে করেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। মোদীর আসল চরিত্র যাতে সকলের সামনে না আসে সে কারণে প্রচ্ছ্ন্ন মদত দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও, বলেছেন এসএফআই প্রেসিডেন্সি ইউনিটের সদস্য দেবনীল পাল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিনের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা।
দিল্লির বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যচিত্রটি দেখাতে বাধা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ এবং দিল্লি পুলিশ। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। জামিয়া মিলিয়ায় (Jamia Milia University) গেটের বাইরে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে স্ক্রিনিং আটকায়। গ্রেপ্তার করা হয় ছাত্রদের। শুক্রবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ে জমায়েত করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ, তথ্য জানার অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করছে সরকার।
Comments :0