সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরুর ভাষণ শেষ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শুক্রবারই সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 
ভাষণ রাষ্ট্রপতির হলেও তার বয়ান সাধারণভাবে নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এদিন সরকারের কাজে দেশের প্রভূত উন্নতির ছবি আঁকতে চেয়ে ভাষণ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। 
বাস্তব যদিও অনেকটাই আলাদা। জাতীয় নমুনা সংগঠন বা এন’এসও-র রিপোর্টেই অনুমান করা হয়েছে যে চলতি অর্থবছরে বৃদ্ধির হার কমে যাবে। শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থনীতিতে চাহিদা বৃদ্ধি করবেন কিভাবে তা নিয়ে আগ্রহী সব অংশই। 
রাষ্ট্রপতির ভাষণে বলা হয়েছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ থেকে এখন ‘মেক ফর দা ওয়ার্ল্ড’ দৃষ্টিভঙ্গি সামনে রেখে এগোতে চাইছে সরকার। তার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরো বাড়বে বলে দাবি করা হয়েছে। 
ভাষণে বলা হয়েছে গ্রীন ইকোনোমি বা পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির পথে বিপুল কর্মসংস্থান করার দিকে এগোতে চাওয়া হচ্ছে। দাবি করা হয়েছে বাড়ির ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর জন্য সাড়ে সাত লক্ষ ইউনিট চূড়ান্ত হয়েছে। জাতীয় গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনে অর্থ বরাদ্দের উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। 
তবে এই সরকারের প্রতিশ্রুতি কৃষকদের ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হবে কিনা সে প্রশ্ন উল্লেখ করা হয়নি। কৃষকরা ফসলের ন্যূনতম দামের জন্য আইন কৃষি ঋণ মাফের মতো দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন সারা দেশে। 
ভাষণে বলা হয়েছে অর্থনৈতিক অনুন্নত এলাকায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। মাওবাদী হিংসা উপদ্রুত এলাকায় বিশেষ করে ছত্তিশগড়ে সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ভাষণে। 
এদিন সংসদ শুরুর আগে মোদি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন এই প্রথম একটি অধিবেশন হচ্ছে যেখানে বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই। তিনদিন বার্গ রিপোর্ট বা মার্কিন আদালতে আদানিদের ঘুষ কান্ড সংক্রান্ত মামলায় সংসদ উত্তাল হয়েছিল এর আগের কয়েকটি অধিবেশনে। কোন বিষয় সম্পর্কেই জবাবদিহি করেননি প্রধানমন্ত্রী। সেই অবস্থানকেই বৈধতা দিতে চেয়েছেন এদিন।