সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি। ওই দিনই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সকাল এগারোটায় সংসদে ভাষণ দেবেন। 
দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার কমার জোরালো পূর্বাভাস রয়েছে। তার পিছনে রয়েছে কেনাকাটার চাহিদা কমে যাওয়ার বাস্তবতা। একদিকে চড়া দাম জিনিসপত্রের। আরেকদিকে কাজের বাজারে আকাল। কাজের ক্ষেত্রে বাড়ছে না মজুরি। এই পরিস্থিতিতেই সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 
মঙ্গলবার কোলগেট পামোলিভ ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে মুনাফা ২.২২ শতাংশ কমেছে। জনপ্রিয় টুথপেস্ট নির্মাতা সংস্থার এমডি ও সিইও প্রভা নরসিংহম বলেছেন, ‘‘অক্টোবর-নভেম্বর ত্রৈমাসিকে চাহিদা জোরালো ছিল না বাজরে। বিশেষ করে শহরের বাজারে চাহিদার অভাব দেখা গিয়েছে।’’
টুথপেস্টের মতো নিত্যপণ্যে চাহিদার অভাবের আংশিক কারণ অন্য প্রতিযোগীরাও, বলেছেন নরসিংহম। তবে অর্থনীতিবিদদের বড় অংশই মনে করাচ্ছেন যে বাজারে চাহিদার অভাব বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে বারবারই দেখা গিয়েছে। এর আগে দেখা গিয়েছিল জনপ্রিয় বিস্কুটের ছোট প্যাকেটের চাহিদা কমে যেতে।
জাতীয় নমুনা সংগঠন বা এনএসও জানুয়ারির গোড়ায় জানায় যে চলতি অর্থবর্ষ, ২০২৪-২৫’র প্রকৃত মোট জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৪ শতাংশ। আগের অর্থবর্ষে এই প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.২ শতাংশ। তার থেকে লাফিয়ে কমবে চলতি অর্থবর্ষে উৎপাদন বৃদ্ধির হার।
নির্দিষ্ট অর্থবর্ষে মোট পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনের আর্থিক মূল্যের ভিত্তিতে জিডিপি’র হিসেব হয়। তবে দামের বৃদ্ধি বাদ দিয়ে প্রকৃত জিডিপি হিসেব করা হয়। পণ্য এবং পরিষেবা সত্যিই কতটা বাড়ল, বোঝা যায় এই হিসেব থেকে। 
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিয়ম করে বলে বেড়াচ্ছেন যে ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম থেকে তাঁর সময়ে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছে। ভারতের বিপুল জনসংখ্যা এবং একেবারের ওপরতলার হাতে বিপুল সম্পদ বেড়ে যাওয়ার কারণে ক্রমতালিকায় ভারত ওপরে। কিন্তু অর্থনীতির সঙ্কট ধরা পড়েছে জিডি সম্পর্কে পূর্বাভাসে। এবারের বাজেট পেশ হবে সেই পরিস্থিতিতেই। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন সীতারামন।