সারা দেশের শ্রমজীবীদের লড়াইয়ের সঙ্গে ফের বেইমানির অবস্থানই নিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। ৯ জুলাই ধর্মঘটে যোগ দিয়ে কাজে না এলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রশাসন।
বামফ্রন্ট সরকারের মেয়াদে সরকারি শ্রমিক কর্মচারীদের ধর্মঘট সহ আন্দোলনের অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। সরকারে আসীন হয়েই ঠিক উলটো অবস্থান নিতে থাকে তৃণমূল।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং জাতীয় স্তরের কর্মচারী ফেডারেশন সমূহের ডাকে এই ধর্মঘটে শামিল সারা দেশের শ্রমজীবীরা। যার মুখ্য দাবি নরেন্দ্র মোদী সরকারের শ্রম কোড বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে সুরক্ষিত কাজ এবং জীবিকার একগুচ্ছ দাবি নিয়ে ধর্মঘটে শামিল সংযুক্ত কিসান মোর্চার মতো বিভিন্ন অংশের বহু সংগঠন।
ঘটনা হলো শ্রম কোডে ধর্মঘট থেকে ইউনিয়ন গড়ার অধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে সারা দেশে। তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক সেই নীতিই প্রয়োগ করে চলেছে রাজ্যে। ফের যা ধরা পড়েছে ৯ জুলাই ধর্মঘটকে বানচাল করার চেষ্টায় জারি এই নোটিশে।
নবান্নের জারি করা সার্কুলারে ৯ জুলাই ধর্মঘটের উল্লেখ করে বলা হয়েছে ওই দিন সব সরকারি দপ্তর এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সব দপ্তর খোলা রাখতে হবে। নির্দিষ্ট কয়েকটি কারণ বাদে অন্য কারণে অনুপস্থিত হলে পাঠানো হবে কারণ দেখানোর নোটিশ। নোটিশের জবাব দিতে বাধ্য থাকবেন সব কর্মচারী। সরকার সেক্ষেত্রে ‘ডায়াস নন’ বা একদিনের বেতন কেটে নেওয়া হবে।
৯ জুলাইয়ের ধর্মঘটে বড় সংখ্যায় যোগ দিচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। মহার্ঘভাতার সঙ্গত দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত দীর্ঘ লড়াই চালাতে হয়েছে তাঁদের। সুপ্রিম কোর্ট বকেয়ার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার ছয় সপ্তাহ সময় দিলেও মেয়াদের মধ্যে টাকা দেয়নি রাজ্য। উলটে আরও সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে যার একমাত্র উদ্দেশ্য সরকারি কর্মীদের বঞ্চনা করা। যে সরকার চোদ্দ বছরে রাজ্যের বিপুল উন্নতির দাবি করে জনসমাবেশে তারাই বিভিন্ন স্তরের আদালতে গিয়ে চরম অর্থাভাবের যুক্তি খাড়া করেছে বারবার।
সোমবারই ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করেছে ট্রেড ইউনিয়ন, কৃষক, খেতমজুর সংগঠন সহ বিভিন্ন অংশ। তাঁরা জানিয়েছেন ধর্মঘট হবেই।
July 9th Strike Mamata
শ্রমজীবীর অধিকারে ফের আঘাত মমতার, ধর্মঘট ঘিরে শাস্তির হুঁশিয়ারি কর্মীদের

×
Comments :0