পরিবেশ বিজ্ঞানী ও ভূতত্ববিদের যুক্তি অগ্রাহ্য করেই চারধাম যাত্রার জন্য যোশীমঠে(Joshimath) সড়ক নির্মানের কাজ শুরু করে কেন্দ্র। সঙ্গে চলতে থাকে এনটিপিসি’র NTPC(ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের)হাইড্রোইলেক্ট্রিক প্রোজেক্ট। যে যোশী মঠে ভারী নির্মান করা বিপদকে ডেকে আনার সামিল সেই যোশীমঠে সরকারে অনুমতি নিয়েই চলে একের পর এক নির্মান প্রকল্প। সম্প্রতি সেখানকার বাড়ি, অফিস, রাস্তা সহ প্রায় সর্বত্রই ফাটল দেখঅ দেওয়ার পর চরম তৎপরতা দেখঅতে শুরু করেছে কেন্দ্র ও সে রাজ্যের বিজেপি সরকার।
বুধবার যোশী মঠের প্রায় ৮৬টি(86) বাড়িকে বিপজ্জনক বাড়ি বলে চিহ্নিত করল উত্তরাখন্ড সরকার। বাসিন্দাদের অতি শিঘ্রই সেই বাড়িগুলি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সরকারের এই নির্দেশ মানতে কার্যতই নারাজ বাসিন্দারা। তাদের দাবি শতাব্দি ধরে পরিবারগুলো বাস করে এখানে। কিভাবে কয়েকদিনের নোটিসে সব ছেড়ে তারা চলে যাবে? কোথাই বা যাবে? এই বাড়ি ছাড়া তাদের যাবার কোনও জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন তারা। তাদের ভিটে ছাড়া না করে সরকার বরং সড়ক নির্মান বন্ধ রাখুন বলেও আওয়াজ উঠেছে।
আরেক বাসিন্দার দাবি যে সকল বাড়ি গুলিকে বিপদজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সরকার সেই পরিবার পিছু দেড় লক্ষ টাকা করে দিচ্ছে। এই সামান্য টাকা নিয়ে আমাদের কি হবে! কোথাও যাব সেই প্রশ্ন উঠছে।
যোশীমঠে প্রায় ৭২০ টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বাসিন্দাদের অভিযোগ জাতীয় সড়ক ও এনটিপিসি’র কাজের জন্যই এই অবস্থা হয়েছে। ফাটল দেখা যাওয়ার পর যোশীমঠ সংলগ্ন জাতীয় সড়ক নির্মানের কাজ ও এনটিপিসি’র কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও রাতের অন্ধকারে কাজ চলছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এরমধ্যেই হু হু করে জল ঢুকছে যোশীমঠে। যেকোনও সময়ে বিপদ হতে পারে। কিন্তু সরকারের নোটিসকেই অগ্রাহ্য করে চলছে সরকারি কাজ। তবে শুধু যোশীমঠ নয় কর্ণপ্রয়াগেও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Comments :0