দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় শনিবার দিল্লি’র ইডি দপ্তরে হাজিরা দিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে. কবিতা। ইডি সূত্রে এই একই মামলায় ধৃত হায়দ্রাবাদের ব্যাবসায়ী অরুণ রামচন্দ্র পিল্লাইয়ের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে কবিতাকে।
উল্লেখ্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিজেপি নেতা বিবেক দাবি করেন, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হবেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে। ইডি দপ্তরে কবিতার হাজিরার আগেই বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করার অভিযোগ বার বার উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কখনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করে বা দলীয় দপ্তর বা অন্য কোন জায়গায় তল্লাসি চালিয়ে হেনস্তা করা হয়েছে। কবিতাকে জেরা করার পিছনে কোন রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
বিবেকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় কবিতা বলেন, ‘‘কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আট বছর ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু এই আট বছরের মধ্যে ন'টি রাজ্যে অনৈতিকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সরকার ফেলে দিয়েছে বিজেপি। ঘুরপথে এই রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা দখল করেছে।’’
বিবেক দাবি করেন, গুজরাট এবং পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের সময় কে কবিতা দেড়শ কোটি টাকা আম আদমি পার্টিকে দিয়েছেন। এই লেনদেনের সঙ্গে দিল্লির আবগারি দুর্নীতির যোগাযোগ আছে।
গত বছর নভেম্বরে হায়দরাবাদে কবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। ইডি’র অভিযোগ, আবগারি নীতির কারণে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল দিল্লির ‘আম আদমি পার্টি’ সরকার। এমন একটি সংস্থায় ৬৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে কবিতার।
এই একই মামলায় সিবিআই হেপাজতে রয়েছেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। যে নীতি নিয়ে অভিযোগ, তা গত বছরই বাতিল করেছে দিল্লির ‘আপ’ সরকার। এই নীতিতে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে নিলামের মাধ্যমে মদ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়। দিল্লিতে বরাবর মদের দোকান রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নীতি বাতিলের পরও তদন্তে নেমে উপমুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা করেছে বিরোধীরা।
Comments :0