বিপুল সংখ্যক গাড়ি এবং পর্যটকের চাপে নাজেহাল দশা হিমাচল প্রদেশের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও’তে দেখা গিয়েছে, শিমলা, মানালি, অটল টানেল সহ রাজ্যের সমস্ত পর্যটনস্থলে কয়েক কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন রয়েছে।
একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও’তে দেখা গিয়েছে, গাড়ির লাইন এড়াতে লাহুল জেলার চন্দ্রা নদীর মাঝখান দিয়ে এসইউভি চালিয়ে যাচ্ছেন এক পর্যটক। যদিও তাঁর এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন নেট পাড়ার বাসিন্দারা। বহু মানুষকে লিখতে দেখা গিয়েছে, নদীতে জলস্তর বেশি থাকলে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। গাড়িটির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে হিমাচল পুলিশও।
হিমাচল পুলিশ জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৯.০২ কিলোমিটার লম্বা অটল টানেল দিয়ে ২৮,২১০টি গাড়ি যাতায়াত করেছে। এরমধ্যে ১৪ হাজার গাড়ি হিমাচল প্রদেশের। বাকি ১৩ হাজার গাড়িতে করে ভিন রাজ্যের পর্যটকরা এসেছেন। শিমলা শহরে গত ৭২ ঘন্টায় ৫৫ হাজার গাড়ি প্রবেশ করেছে। পুলিশের হিসেবে, বছরের শেষ সপ্তাহে শিমলা শহরে ১ লক্ষের বেশি গাড়ি প্রবেশ করতে পারে। ইতিমধ্যেই শিমলা শহরের রাস্তায় ৬০ হাজারের বেশি গাড়ি পার্ক করা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে মানালি শহরে ভিড় জমিয়েছেন ৫৫ হাজারের বেশি পর্যটক।
বিপুল সংখ্যক পর্যটকের চাপ সামলানোর জন্য হিমাচল পুলিশ, বিশেষ করে লাহুল-স্পিতি এবং কুল্লু জেলার পুলিশের ঢালাও প্রশংসা করেছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।
বিপুল পরিমাণে পর্যটকের আগমনের ফলে খুশি হিমাচলের হোটেল এবং পরিবহন ব্যবসায়ীরা। যদিও বিশেষজ্ঞরা অন্য আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁদের বক্তব্য, হিমালয় অঞ্চলের জলবায়ু বা ইকোলজি খুবই স্পর্শকাতর। হঠাৎ বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে সমবেত হলে, তা পাহাড়ি এই অঞ্চলগুলির সীমিত প্রাকৃতিক রসদ, যেমন পানীয় জল ইত্যাদির উপর চাপ তৈরি করবে। এরফলে একদিকে যেমন স্থানীয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনই পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।
Comments :0