বৃহস্পতিবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীর মৃত্যু ঘটনা ও পুলিশের অমানবিক আচরণকে নিন্দা করার কোন ভাষা নেই। কিন্তু তারপরেও যথাযথ তদন্তের বদলে পুলিশ অপেশাদার, বোধহীন এবং শাসক দলের দাসত্বের কাজ করছে। এরাজ্যের সরকার ও পুলিশ প্রশাসন যোগী রাজ্যের মত এনকাউন্টারে হত্যার পথ নিচ্ছে যা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।
সেলিম বলেন, অপরদিকে এই ঘটনাকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার বদলে সম্প্রদায় ও বর্ণের নামে অপরাধী চিহ্নিত করতে চাইছে বিজেপি।
তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস উভয়েই এই ধরনের বিভাজনের রাজনীতিতে সমান সক্রিয়। আমাদের রাজ্যের হাসখালি, বিজেপি শাসিত হাথরাস,উন্নাও, জম্মুর ঘটনায় এই একই দৃশ্য আমরা দেখেছি। তৃণমূল-বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে দাড়িভিট কান্ড বা বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচির গুলিকাণ্ডকে ঘিরে মানুষের ঐক্যকে দুর্বল করে বিভাজনের রাজনীতি করে নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছিল। আবার তারা এই ধরনের বিভাজনের রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক ঘৃণার চাষ শুরু করেছে।
সেলিম বলেন, ইতিমধ্যে হাওড়া, রিশড়া, ডালখোলা , কালিয়াচকে মানুষ বিভাজনের এই নীল নকশা কে পরাস্ত করেছেন। এই আবহে বিভাজনের রাজনীতিকে তীব্র করার লক্ষ্যেই শুক্রবার বিজেপি উত্তরবঙ্গ বন্ধ বন্ধের যে ডাক দিয়েছে । কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, অপরাধীদের শাস্তি, দোষী পুলিশের শাস্তির দাবি করার পাশাপাশি সিপিআই(এম) জনগণের ঐক্য রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছে। এই বনধে মানুষের জরুরী দাবি যেমন ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা, নিয়োগ দুর্নীতির সকল দোষীর শাস্তি, খাদ্য- জ্বালানি- ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির কোন কথা নেই।
Comments :0