মোদী বলেছেন, ‘‘অমৃত কালে স্বর্ণীন ভবিষ্যতের মুখোমুখি হবেন যুবরা। দাসত্বের মানসিকতা থেকে গোটা দেশ বেরিয়ে আসছে। নিজের সামর্থের উপর ভরসা তৈরি হচ্ছে। বিশ্বে এই মুহূর্তে প্রথম সারিতে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। বিশ্বের নানা সমস্যা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে ভারত। অমৃতকালের আগামী ২৫ বছর যুবশক্তির কাছে নতুন দিনের বার্তা বয়ে আনবে।’’
মোদী এদিন দাবি করেছেন, ‘‘সরকারের কাছে স্পষ্ট রোডম্যাপ, স্পষ্ট নীতি রয়েছে যুবদের উন্নতির জন্য। সেই লক্ষ্যে এনইপি নেওয়া হয়েছে। স্টার্টআপ ইন্ডিয়া প্রকল্প চালু করেছে সরকার। দেশে ১ কোটি ২৫ লক্ষ স্টার্টআপ রয়েছে। ৮ কোটি যুবক প্রথমবার মুদ্রা যোজনায় ঋণ পেয়েছেন। দলিত, আদিবাসী অংশের যুবকরা প্রবল ভাবে উপকৃত। এই অংশের কাছে ব্যাঙ্ক গ্যারেন্টি ছিলনা। এদের গ্যারেন্টিও মোদী দিয়েছে। ব্যাঙ্ককে বলেছি, ভয় মুক্ত হয়ে মুদ্রা ঋণ দিন।’’
২৬ ডিসেম্বর শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে পবিত্র দিন। সেই সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে ঢালাও প্রতিশ্রুতি এবং দাবি বিলিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা ঠিক কি?
কেন্দ্র সংসদে জানিয়েছে চলতি বছরের জুন অবধি ৭ হাজার ৭ শো’র বেশি কর্পোরেট সংস্থা ব্যবসা বন্ধ করেছে। বাইজু’স, জিওমার্টের মত প্রথম সারির সংস্থাগুলির ১০,৭৭৪জন কর্মী কাজ হারিয়েছেন। তারমধ্যে বাইজু’স ছাঁটাই করেছে আড়াই হাজার কর্মীকে। জিওমার্টের ১ হাজরের বেশি কর্মী কাজ হারিয়েছেন। অখ্যাত সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও করুণ।
এর পাশাপাশি রয়েছে শ্রম মন্ত্রকের পর্যায়ক্রম শ্রমশক্তি সমীক্ষা। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের গ্রামাঞ্চলে ১৫-২৯ বয়সীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ। শহরের ক্ষেত্রে এই হার ১৩.৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় সমীক্ষক সংস্থা এনএসএসও’র তরফে এপ্রিলে ৭৮দফার একাধিক সূচক সমীক্ষা বা মাল্টিপল ইন্ডিকেটর সার্ভে করা হয়। প্রতি বছর রাষ্ট্রসংঘের কাছে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজি’র রিপোর্ট পাঠাতে হয় সমস্ত দেশকে। সেই রিপোর্ট তৈরি হয় এনএসএসও’র এই সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে। এই সমীক্ষায় দেশে দারিদ্র, ক্ষুধা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, পরিশ্রুত পানীয় জলের যোগান প্রভৃতি ১৭টি বিষয় উঠে আসে।
এনএসএসও’র সমীক্ষা জানাচ্ছে, দেশের ১৫-২৯ বছর বয়সীদের ৩৩ শতাংশ কাজ কিংবা পড়াশোনা, কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত নয়। মোট ২.৭৬ লক্ষ পরিবারের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে এনএসএসও’র তরফে।
এর পাশাপাশি আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় উঠে এসেছে সমীক্ষা। সরকারি হিসেবে দেশের ৫১.৭ শতাংশ মহিলা কর্মরত। কিন্তু কর্মরত হিসেবে চিহ্নিত মহিলাদের ৯০ শতাংশ জানাচ্ছেন, তাঁরা কেবলমাত্র গৃহস্থলীর কাজই করেন।
Comments :0