PAKISTAN TEMPLE

মন্দিরের সুরক্ষায় কড়া সতর্কতা জারি পাকিস্তানের সিন্ধে

আন্তর্জাতিক

PAKISTAN TEMPLE

সব মন্দিরের সুরক্ষায় বিপুল বাহিনী মোতায়েন করল পাকিস্তান। সিন্ধ প্রদেশে একটি মন্দিরে হামলা হয় চলতি সপ্তাহে। সিন্ধ পুলিশ জানিয়েছে একদল ডাকাত লুটপাটের জন্য হামলা চালিয়েছিল। চারশো পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে প্রদেশে। সব মন্দিরে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার সিন্ধ প্রাদেশিক বিধানসভায় মন্দিরে হামলা নিয়ে বিশদে আলোচনাও হয়েছে। জবাবদিহি করতে হয়েছে সরকারপক্ষকে। পাকিস্তানে হিন্দুরা সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু অংশ। সিন্ধে হিন্দুদের সংখ্যা কম নয়। মুসলিম প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক, ভাষাগত বিনিময় এবং সৌহার্দ্যের সংস্কৃতিও গভীর। 

রবিবার সিন্ধের কাশমোরে একটি ছোট মন্দিরে এই হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মন্দিরের গা ঘেঁষে রয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাসও। সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন সিন্ধের পুলিশ প্রধান গুলাম নবি মেমন নিজেই। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘জিও নিউজ’ বিশদে সুরক্ষা বন্দোবস্ত সম্পর্কে জানিয়েছে। 

তবে কাশমোর ছাড়াও করাচির মারি মাতা মন্দিরের অনেকটা অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুই ঘটনাতেই উদ্বেগ জানিয়েছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন। 

প্রদেশ জুড়ে প্রচারেও নেমেছে পুলিশ। মেমন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘‘বসবাসরত প্রত্যেক ধর্মীয় সংখ্যালঘুর নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের।’’ ঘৌসপুর থানায় অজানা হামলাকারীদের নামে অভিযোগ পত্রও দায়ের হয়েছে। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। 

সীমান্তের এ পারে, ভারতে এই ঘটনা নিয়ে প্রচার যদিও শুরু হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তান এবং বিশেষত বাংলাদেশে মন্দির ঘিরে যে কোনও ঘটনাকে মেরুকরণের হাতিয়ার বারবারই করেছে সঙ্ঘ পরিবার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সত্যের ধারকাছ দিয়ে যায় না এমন প্রচার। ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও কোনও সময় সমালোচনার কারণ হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা। একইসঙ্গে তাঁরা মনে করাচ্ছে, গত ৯ বছরে ভারত যেভাবে বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছে, আগে তেমন কখনও হয়নি। 

সিন্ধের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী জ্ঞানচাঁদ এসরানিও দুষ্কৃতীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রমণের লক্ষ্য হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তানের নেতা এবং প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য মঙ্গলা শর্মা বলেছেন, ‘‘নদী সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বেশ কিছু ডাকাতদলের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এরা যথেষ্ট অস্ত্র সঙ্গে রাখে। রয়েছে রকেট লঞ্চারও। হামলার পর হিন্দুদের মধ্যে আশঙ্কা বেড়েছে। ডাকাতরা অন্য মন্দিরে হামলা করবে বলে ভয় দেখাচ্ছে।’’ 

প্রাদেশিক আইনসভায় হিন্দু মন্দিরে হামলা নিয়ে আলোচনায় এসরানি বলেছেন, ‘‘কোনও দুষ্কৃতীকেও মনে রাখতে হবে সে পাকিস্তানের নাগরিক। বিশ্বে পাকিস্তানের বদনাম হয় এমন কিছু করা যাবে না।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment