বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এক সংবাদ সংস্থার বিকৃত পরিবেশনা নিয়ে বিবৃতি দিল জুটা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি বিশেষ বৈদ্যুতিন মাধ্যমে(রিপাবলিক বাংলা) বেশ কয়েকদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। এই প্রচারের সমর্থনে তারা সাম্প্রদায়িক প্ররোচনামূলক বক্তব্যও হাজির করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্য সহ ছাত্রছাত্রী -শিক্ষক-গবেষক নির্বিশেষে সকলের নামেই বেনজির আক্রমণ ও কুৎসা করেই চলেছেন। গতকাল (১৩ মার্চ) মূল প্রশাসনিক ভবনে প্রায় দশটি ক্যামেরা নিয়ে লাইভ প্রোগ্রামের নামে যথেচ্ছাচার করতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, নিবন্ধক সহ আধিকারিকদের ঘরে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশাসনের নামে আপত্তিকর কথা বলতে থাকেন। এরই মধ্যে নানা সাম্প্রদায়িক প্ররোচনামূলক কথাবার্তাও ছিল যা দেশের আইনবিরুদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা এই কাজ থেকে তাঁদের বিরত করতে গেলে তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হয় এবং ক্রমাগত তাঁদের আটকে রাখার মিথ্যা কথা সম্প্রচার করা হয়। প্রায় দু ঘণ্টা ধরে বিনা অনুমতিতে বিভিন্ন দপ্তরে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাজে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। প্রশাসনের বারংবার অনুরোধেও তাঁরা থামেননি। ক্যামেরার সামনে অনিচ্ছাসত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীদেরও কথা বলতে নানাভাবে ফোর্স করা হয়। সাংবাদিক হবার সুযোগ নিয়ে কিছুক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নির্বিশেষে কার্যত বুম, ক্যামেরা নিয়ে চড়াও হবার ঘটনাও ঘটেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি এবং প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই জন্মগ্রহণ করেছে।দেশপ্রেমের গভীর প্রত্যয় নিয়েই বিকল্প শিক্ষা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য। শিক্ষা, গবেষণায় যাদবপুর দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম। একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার স্বীকৃতিতে তা স্পষ্ট। এমনকি গত পরশু QS র্যাঙ্কিংয়ের ফলাফলে আমাদের সাফল্য নজরকাড়া। অথচ,বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাদবপুরের ভালো কাজের কোনো বিষয় এঁদের চর্চার জন্য বিবেচিত হয়না। ফলে এসবের পেছনে যে পরিকল্পিত উদ্দেশ্য আছে তা আজ পরিষ্কার। বিপুল অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও উদ্যমী শিক্ষককূল, ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের আন্তরিকতা ও উদ্যমে পঠন-পাঠন ও গবেষণায় যাদবপুর নিরলসভাবে তার উৎকর্ষ ধরে রেখেছে। আমাদের রাজ্যের এইরকম একটি গর্বের প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণের মধ্য দিয়ে আসলে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। জনমানসে এমন এক বিরূপ ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টার অন্যতম উদ্দেশ্য বেসরকারি উদ্যোগকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা।
Comments :0