PRIMARY TEACHERS HOOGLY

প্রধান শিক্ষক নেই, স্কুল বন্ধ বারবার,
অবস্থানে ক্ষোভ শিক্ষকদের

জেলা

70 Schools Running without Head Teacher চুঁচুড়া প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান। ছবি: শুভ্রজ্যোতি মজুমদার

সত্তর শতাংশ প্রাথমিক স্কুল চলছে কোনও প্রধান শিক্ষক ছাড়াই। গরমের জন্য স্কুল বন্ধ করা হলো। অথচ সকালে স্কুল চালানোর ব্যবস্থা করা যেত। শিক্ষক বা ছাত্র কারও স্বার্থই দেখছে না রাজ্যের সরকার। কেন্দ্র সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাই তুলে দিতে নেমেছে। রাজ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছে সেই জাতীয় শিক্ষানীতি। 

শুক্রবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভবনের কাছে অবস্থানে এই অভিযোগে সরব হয়েছেন হুগলীর প্রাথমিক শিক্ষকেরা। দাবি জানিয়েছেন, যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ৩৬ শতাংশ বকেয়া ডিএ দিতে হবে। 

নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির হুগলী জেলা কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচী হয়। জেলা সম্পাদক কমল মল্লিক সহ পাঁচজনের প্রতিনিধিদল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ আধিকারিকের কাছে পাঁচদফা দাবিতে স্মারকলিপি দেয়। বক্তব্য রাখেন, এবিপিটিএ’র রাজ্য সভাপতি মোহনদাস পন্ডিত। তিনি বলেন ৭০ শতাংশ স্কুলেই কোনও প্রধানশিক্ষক নেই। কোনও শিক্ষকের রাজ্য সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের ব্যবস্থা নেই। বকেয়া ডিএ’র দাবি তো আছেই। রাজ্য সরকার এগুলি নিয়ে ভাবছে না। পণ্ডিত বলেন, ২০১৭ সালে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সফলদের চাকরি সুনিশ্চিত করা দরকার। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ও সরকার অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করুক। 

পণ্ডিত বলেছেন, এখন বহুদিন ধরেই স্কুল বন্ধ রেখেছে সরকার। আমরা বলতে চাই সকালে স্কুল হোক। গরমের জন্য দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রেখে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলার কোনও মানে হয় না। 

জেলা সম্পাদক কমল মল্লিক বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার হাল দিন দিন বেহাল হচ্ছে। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতির মধ্য দিয়ে শিক্ষার লাগামহীন বেসরকারীকরণকে সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রেখে সরকার সুচতুর ভাবে শিক্ষার্থীদের বেসরকারি স্কুলের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই দুই সরকারের নীতির বিরোধিতা করতে আমরা পথে নেমেছি। সভাপতিত্ব করেন শিক্ষকনেতা অরিন্দম মুখার্জি। 

Comments :0

Login to leave a comment