AIKS Deputation

চোপড়া বিএলএলআরও অফিসে ডেপুটেশন কৃষক সভার

জেলা

সোমবার সাত দফা দাবি জানিয়ে সারা ভারত কৃষকসভা চোপড়া বিএলএলআরও অফিস ঘেরাও করে। তারপর বিএলএলআরও কে স্মারকলিপি তুলে দেয় দেয় কৃষক সভার নেতৃত্ব। এদিনের ওই কর্মসূচিতে ছিলেন সিপিআই(এম)উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক, সারা ভারত কৃষক সভার উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক সুরজিৎ কর্মকার, কৃষক সভার জেলা সভাপতি উত্তম পাল, জেলা সহ-সভাপতি পরিতোষ রায়, চোপড়া ব্লক সম্পাদক বিষ্ণুপদ দাস প্রমূখ।
এদিন ডেপুটেশন দেওয়ার পর আনোয়ারুল হক বলেন, ‘‘গত কয়েক মাসে চোপড়ার বুকে ৭ জন খুন হয়েছেন। তার নেপথ্যে হাত রয়েছে চোপড়া বিএলআরওর। তিনি সক্রিয় হলে খুনগুলো আটকানো যেত’’।
আনোয়ারুল হক আরও বলেন, ‘‘চোপড়ায় বালি খাদান ও মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য চলছে শাসক দল ও বিএলআরওর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মততে। চোপড়ার মহানন্দা ও ডোক নদীতে প্রকাশ্যে বালি চুরি হয় এবং তিস্তা চ্যানেল থেকে মাটি চুরি হচ্ছে। সেখানে কেউ বাধা দিলেই শাসকদলের গুন্ডা মাফিয়ারা বোমা বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। বেআইনিভাবে বালি তোলা ও মাটিকাটা বন্ধ করা বিএলএলআরও’র কাজের মধ্যে পড়ে।কিন্তু এই বিএলএলআরও অফিসে বসে মৌরসি পাট্টা চালান। তিনি তদন্ত করে কোথাও কোন কেস করেন নি। এই মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে খুন হওয়া মানুষদের নেপথ্যে যে কার্যকলাপ রয়েছে তা তদন্ত করেনি পুলিশ এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর।’’
তাঁর অভিযোগ চোপড়ায় চা বাগান বন্ধ ও চা বাগানের জমি প্লট করে বিক্রি করার কাজে শাসক দল সক্রিয় রয়েছে। তাদের সমালোচনা করে আনোয়ারুল হক বলেন, এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি করতে চোপড়া ব্লকে চা বাগান এবং চা শিল্পের পরিকাঠামো তৈরি করতে আমাদের নেতাদের নিরলস পরিশ্রম করতে হয়েছে। তার ফলে চোপড়ায় চা বাগান থেকে এলাকার আদিবাসী ও খেতমজুরদের কাজের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চা বাগানকে তারা নিশানা করে। মালিকদের বন্দুকের ডগায় এনে সেই বাগান দখল করে প্লট করে বিক্রি করছে এলাকার শাসক দল মদতপুষ্ট জমি মাফিয়ারা। অনেকাংশে মালিক পক্ষ রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যেত বাধ্য হয়। আমাদের দাবি চা বাগানের জমির মালিকানা পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু জমির চরিত্র বদল করা যাবে না এবং জমি বিক্রি করে বিক্রি করা যাবে না। শ্রমিক কাজ হারাচ্ছে চা বাগান গুলোতে। ওই বানানগুলোর জমির চরিত্র বদল করতে বিএলএলআরও’র বড় ভূমিকা রয়েছে। সব মিলিয়ে চোপড়াতে বোমা বন্দুকের রাজত্ব কায়েম করে চা বাগান দখল এবং বালি খাদান থেকে তোলা আদায় চলছে। মানুষ প্রতিরোধ তৈরি করছেন। আমরা বামপন্থীরা তাদের সাথে আছি।
 

Comments :0

Login to leave a comment