Strike Rally

ধর্মঘটের সমর্থনে জেলায় জেলায় মিছিল

রাজ্য জেলা

Strike Rally

শুক্রবার ধর্মঘট সফল করতে জেলায় জেলায় মিছিল পথসভা করে সরকারি কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবং কোর্ট এলাকায় মিছিল ও পথসভা করে। এছাড়াও আলিপুরদুয়ারে ৬টি ব্লকেই এই কর্মসূচি হয়।

ডি এর দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুপ মন্তব্য এবং ভয় দেখানো হুমকির বিরুদ্ধে শিক্ষক কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চের ডাকে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানিয়ে মিছিল সভা হয় ধূপগুড়িতে। এদিন বিকালে ডাকবাংলো ময়দানে জমায়েত হয়ে বিরাট মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মিছিল কলেজ রোডে ফালাকাটা বাস স্টপে এসে শেষ হয়।
দার্জিলিঙ জেলার পক্ষ থেকে এদিন সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম সংলগ্ন সুইমিংপুলের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। হাসপাতাল মোড়, হিলকার্ট রোড, সেবক মোড়, মিত্র সম্মিলনী, গোষ্ঠপালের মূর্তির সামনের রাস্তা দিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সামনে এসে মিছিল শেষ হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ১২ই জুলাই কমিটির মনোজ নাগ, কো অর্ডিনেশন কমিটির দার্জিলিঙ জেলা সম্পাদক অরিন্দম মিত্র, কর্মচারী আন্দোলনের নেতৃত্ব উত্তম চতুর্বেদী, এবিটিএ—র বিদ্যুৎ রাজগুরু, পেনশনার্স সমিতির ভজন চৌধুরী সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

 


ধর্মঘটের সমর্থনে এদিন মিছিল হয় হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগানা, নদীয়, বাঁকুড়া, বীরভূম, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। 

আগামী ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে সরকারী কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে‌ তা সফল করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার এক মহামিছিল মালদহ শহর পরিক্রমা‌‌ কে।  মালদহ টাউন হল থেকে মিছিল বের হয় এবং শহরের বিভিন্ন‌‌ পথ পরিক্রমা করে তা মুখ্য ডাকঘরের সামনে শেষ হয়। মিছিলে ব্যাপক সংখ্যক রাজ্য সরকারী কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে পাওয়া বেতন ও পেনশন প্রাপকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মঘটের সমর্থনে এদিন বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর সহ অন্যান্য ব্লকে রাজ্য কো অর্ডিনেশন কমিটি, জয়েন্ট কাউন্সিল, এবিটিএ,এবিপিটিএ, সারা বাংলা শিক্ষা কর্মী সহ অন্যান্যদের যৌথ মঞ্চ ১২ জুলাই কমিটি বিক্ষোভ মিছিল সহ পথ সভা করে। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গনসংগঠনের নেতৃত্ব।

ধর্মঘটের সমর্থনে এবং সম্প্রতি ত্রিপুরাতে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বামপন্থীদের উপর বিজেপি আশ্রিত গুন্ডা বাহিনীর সীমাহীন বর্বরোচিত হামলা ও আক্রমণের বিরুদ্ধে ১২ ই জুলাই কমিটি ও যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে  প্রতিবাদ সভা হয় বসিরহাট বোটঘাটে। সভায় ছাত্র যুব মহিলা শ্রমিক কৃষক খেতমজুর ছাত্র যুব মহিলারা অংশ নেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কর্মচারী আন্দোলনের নেতা অশোক মণ্ডল ও পেনশনার্স সমিতির রত্না গাজি। গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন উজ্জ্বল ব্যানার্জি। বকেয়াডি এ পরিশোধ, স্বচ্ছতার সাথে শূন্যপদে নিয়োগ,অস্হায়ী কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ, বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বক্তব্য রাখেন ১২ জুলাই কমিটির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক রঞ্জিত মুখার্জি, এবিপিটিএ উত্তর ২৪পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি পেনশনার্স সমিতির পক্ষে মুরারী মাঝি,সি আই টি ইউ'র পক্ষে দীপেশ চৌধুরী, পঞ্চায়েত কর্মচারী সমূহের যৌথ কমিটির পক্ষে পিনাকীব্রত সজ্জ্বন, এবিটিএ নেতা অরিত্র মল্লিক, সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের নেতা সুকান্ত মণ্ডল ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের নেতা সুবিদ আলি গাজি।

বারাসত পৌরসভার গেটে এদিন সভা হয়। মহার্ঘভাতা প্রদান সহ ৪ দফা দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি দীপক মিত্র, পৌরসভার ইউনিয়নের সম্পাদক বরুন ভট্টাচার্য সহ নেতৃবৃন্দ। সভাপতি ছিলেন জয়ন্ত সরকার। এদিনের সভায় স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীরা যোগ দেন।


বৃহস্পতিবার ১২ই জুলাই কমিটির ডাকে ডিআই অফিসের সামনে থেকে চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় পর্যন্ত ১০ মার্চ ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল  হয়। চন্ডীতলার মশাটে এবিটিএ ও এবিপিটিএ সহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিডিও, এস আই, পঞ্চায়েত সহ বাজার এলাকায় মিছিল হয়। মিছিল শেষে মশাট বাজারে পথসভা হয়। বক্তব্য রাখেন এবিপিটিএ'র পক্ষে আশীষ চক্রবর্তী, এবিটিএ 'র মুসা হালদার। সভা পরিচালনা করেন অরুণ পাকিরা।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে কেন্দ্রীয় মিছিল হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের। এদিন তমলুকের মানিকতলা থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত মিছিলে ছিলেন বিশ্বরঞ্জন দিন্ডা, গৌতম পন্ডা, রানা ভট্টাচার্য, অশোক দাস, সুব্রত পন্ডা, নির্মল বেরা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মিছিল শেষে সভা হয়। ধর্মঘটের সমর্থনে কাঁথি শহরে বিশাল মিছিল। কাঁথি শহরের শ্রমিক কর্মচারী শিক্ষক ১২ই জুলাই কমিটির যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ মহাকুমা শাসকের চত্বর থেকে একটি বিশাল মিছিল কাঁথি শহরের সরকারি অফিস স্কুল এলাকাগুলো পরিক্রমা করে। শেষে কাঁথি শহরের বড় ডাকঘর মোড়ে পথসভা হয় ।

ধর্মঘটকে সমস্ত স্তরের মানুষকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে গুসকরায় মিছিলের শুরুতে এক সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টি নেতা রবিন টুডু। গুসকরা পূর্ব এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এই মিছিলকে ঘিরে শহরের মানুষদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
ধর্মঘটের সমর্থনে এদিন সাড়া জাগানো মিছিল হল পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে। এদিন বিকালে আসানসোলে বিশাল মিছিলের পথচলার সূচনা হয় গির্জামোড় থেকে। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি, এবিটিএ, এবিপিটিএ, ওয়েবকুটা, কলেজ ও শিক্ষাকর্মী ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা শামিল হয়েছিলেন। সমর্থন জানিয়ে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন ১২ই জুলাই কমিটির প্রতিনিধিরা। সব ধরণের রাজ্য সরকারি কর্মচারিদেরযৌথমঞ্চ ও সংগ্রামী যৌথমঞ্চেরকর্মচারিরা মিছিলে ধর্মঘটের তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।

 

Comments :0

Login to leave a comment