চিন্ময় কর
রাজ্যে কৃষকদের সঙ্কট খতিয়ে দেখলেন সারা ভারত কৃষকসভার সর্বভারতীয় নেতৃবৃন্দ। সোমবার বর্ধমানের কালনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে যান তাঁরা। শালবনিতে মাওবাদী হামলায় নিহতদের পরিবারবর্গের সঙ্গে কথা বলেন কৃষক নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, কলকাতায় সমাবেশ কৃষকদের। ফসলের দাম, কৃষি উপকরণের খরচ কমানোর মতো একাধিক দাবিতে সমবেত হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকসভার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ধাওলে বলেন,‘‘কেন্দ্রে মোদী সরকারের সময়ে দেশে লক্ষাধিক কৃষক ঋণের জালে এবং ফসলের ন্যায্য দাম না পেয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মঘাতী হতে বাধ্য হয়েছেন। তেমনি পশ্চিম বাংলায় ১২২ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন একই কারণে। এই দুই শক্তিকেই পরাজিত করতে হবে সংগ্রামকে বিকশিত করে।’’ 
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের মাওবাদী বাহিনীর হাতে খুন ৪৮ জন শহীদ পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন কৃষক নেতৃবৃন্দ। আত্মঘাতী কৃষক পরিবারের সদস্যদের সহমর্মিতা জানান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন অশোক ধাওলে, সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণন, সহসভাপতি হান্নান মোল্লা, ইন্দরজিত, সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বিপ্লব মজুমদার, রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার, জেলা সম্পাদক মেঘনাদ ভূঁইয়া ও সভাপতি সুভাষ দে সহ কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব তরুন রায়, সুশান্ত ঘোষ, তাপস সিনহা প্রমুখ।
{ad}
সহমর্মিতা জ্ঞাপন উপলক্ষে এক সভা হয়। সেই সভায় শহীদ পরিবার গুলির বক্তব্য শুনেন নেতৃত্ব বৃন্দ। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় এমন শহীদ পরিবার ৩৭২।  এখনও নিখোঁজ ৯৯ জন। এমন পরিবার গুলির হাতে মৃত্যর শংসাপত্র সরকার তুলে না দেওয়ায় তারা ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি থেকে বঞ্চিত। জেলায় আত্মঘাতী আলুচাষীর সংখ্যা ১৯। 
ধাওলে বলেন, শহীদ পরিবারের কষ্ট যন্ত্রণা সত্ত্বেও আজও তারা বামপন্থী আন্দোলনে শামিল। এটা আমাদের মতাদর্শ, গর্ব করার বিষয়। কেন্দ্রে ও রাজ্যে দুর্নীতিবাজ, ধনী কর্পোরেটদের দালালি করছে দুই সরকার। ধর্মীয় জিগির তুলে দাঙ্গা লাগানো হচ্ছে। আমাদের লড়াই আরও শক্তিশালী করতে হবে।’’
সারা ভারত কৃষকসভার সহ সভাপতি হান্নান মোল্লা বলেন, ‘‘দিল্লির কৃষক আন্দোলনের জেরে তিন কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু ফসলের ন্যায দামের আইনি নিশ্চয়তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ সেই প্রতিশ্রুতি ছিল। ২৬ নভেম্বর থেকে টানা তিন দিন দেশের ৩০টি রাজ্যেই রাজভবন ঘেরাও করবেন কৃষকরা। আন্দোলনের দাবি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
{ad}
                                        
                                    
                                
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0