ধ্বংস হয়েছে তাঁত শিল্প। কৃষক সরকারি দামে ধান বেচতে পারেন না। আর ধ্বংস করা হয়েছে গর্বের পঞ্চায়েতকে। যাদের নীতির কারণে এই পরিস্থিতি, হারাতে হবে তাদের।
কৃষিতে সমৃদ্ধ পূর্ব বর্ধমানের মেমারীতে এই আওয়াজ তুলেছে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’।
শুক্রবার মেমারীতে হয়েছে সমাবেশ। সিপিআই(এম) পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেছেন,
কেন্দ্র এবং রাজ্যের নীতিতে তাঁতশিল্প ধ্বংস করে দিয়েছে। নয়া উদার অর্থনীতির পথ দেশের গরিব মানুষকে ধ্বংস করে পুঁজির মালিকদের পুঁজি বৃদ্ধি করার পথ। ফলে তাঁত শিল্প ধ্বংস হবে, ছোট শিল্প ধ্বংস হবে, কৃষি ধ্বংস হবে।
হোসেন বলেন, নভেম্বর থেকে ধান কেনার কথা। কৃষকসভার আন্দোলনে ডিসেম্বরের বদলে নভেম্বর থেকে ধান কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কেনা হয়নি। কেন? যাতে অভাবী কৃষক ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর সরকার প্রকৃত কৃষকের থেকে না কিনে ধান কিনবে ফড়েদের থেকে। সেখান থেকেই তৃণমূলের তহবিলে টাকা যাবে।
তিনি বলেন, সারের কালোবাজারি হচ্ছে। কৃষকের খরচ বাড়ছে। কোল্ড স্টোরেজ থেকে কৃষক আলু বের করতে পারছেন না। কারণ আলু বের করার জন্য তাঁকে যে টাকা দিতে হবে বিক্রি করে তিনি তত টাকা পাবেন না।
ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি অয়নাংশু সরকার বলেন, খেটে খাওয়ার মানুষের জন্য পঞ্চায়েত ব্যবস্থা করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। সেই পঞ্চায়েতকে লুটের আখড়ায় পরিণত করেছে তৃণমূল। মেমারি পৌরসভা, কলেজ তৈরি হয়েছে বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে। তা’হলে তৃণমূল সরকার কী করল? জনগণের দাবি নিয়েই তাই ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’।
এসএফআই’র সর্বভারতীয় নেত্রী ঐশী ঘোষ বলেন, যেভাবে আরএসএস-বিজেপি দেশে শিক্ষা কর্মসংস্থান বেচে দিয়েছে ঠিক একই ভূমিকা এরাজ্যের তৃণমূল সরকার। আমরা বাংলা বাঁচাও যাত্রার পথে দেখছি স্কুলে শিক্ষক নেই। শিক্ষক থাকলে ছাত্রের অনুপাতে নেই। বেসরকারি স্কুলের বিজ্ঞাপন হচ্ছে। তাদের থেকে তৃণমূল টাকা পায়।
সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, এসআইআর’র নামে উদ্বেগ ছড়ানো হচ্ছে মানুষের মধ্যে। অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। ব্যাঙ্কের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করতে দৌড় করাচ্ছে। ব্যাঙ্ক জিজ্ঞেস করবে আধারের সঙ্গে প্যানের লিঙ্ক আছে কিনা। হাজার টাকা দিতে হবে। ভয় দেখাচ্ছে। হাসপাতালে গেলেও ভয়। জাল ওষুধ দেওয়া হবে কিনা আপনি জানেন না।
মেমারীর সমাবেশে ছিলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী।
Bangla Bachao Yatra Memari
তাঁত শিল্পীর যন্ত্রণা, কৃষকের ক্ষোভের সুরে তপ্ত প্রতিবাদ
×
Comments :0