Fertilizers Black Market

সরকারি সমবায় কেন্দ্রেও সারের কালোবাজারির অভিযোগ

জেলা


দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, দুর্নীতিগ্রস্থ রাজ্যের তৃণমূল সরকার। খাদ্য, পৌর নিয়োগ, স্বাস্থ্য, পিএসসি, এসএসসি, টেট, প্রাইমারি, পঞ্চায়েত দপ্তর, সরকারি প্রকল্প সহ সমস্ত ক্ষেত্র দুর্নীতি আর লুট করেছে তৃণমূল। চলছে সরকারি সমবায় কেন্দ্রেও সারের কালো বাজারী ! এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিলেন কৃষকেরা। অভিযোগ কৃষকদের কাছে রাসায়নিক সারের বেশি দাম নেওয়ার জন্যই দিতে পারছেন না পাকা রশিদ অর্থাৎ চুরি ঢাকতেই চিরকুটে বিল করে রাসায়নিক সার বিক্রি হচ্ছে। সারের আকাল। আবার অতিরিক্ত দাম দিলেই বিনা রসিদে সার পাওয়ায় যাচ্ছে। খোদ সমবায় দপ্তরেই চলছে প্রকাশ্যে এমন সারের কালোবাজারি। সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে তৃণমূল পরিচালিত সমবায় কেন্দ্রের কর্মীরা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘাটাল ব্লকের দীর্ঘগ্রাম-খড়কপুর কৃষি সমবায় সমিতিতে সেই দৃশ্য উঠে এলো।
অভিযোগ সরকারি সমবায় কেন্দ্রেও বস্তা প্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দাম দিতে রাজি হলেই তবেই মিলছে সার। তাই শীতের মরশুমে খারিফ চাষ করতে গিয়ে মহা ফাঁপড়ে পড়েছেন কৃষকেরা। 
তৃণমূল পরিচালিত সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে প্রকাশ্য কৃষকদের বলা হচ্ছে, তারাও বেশী দাম দিয়ে অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে সার বুক করায় তবেই দুই গাড়ি সার এসেছে। নইলে সার পাওয়া যাচ্ছেনা। শাসকদলের নেতাদের আজ প্রকাশ্যে বলতে শোনা গেল সরকার কোমায়। প্রসাশনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি আর কাটমানির বহর।
প্রসান্ত সরকার, সায়ন শীল প্রমুখ কৃষকেরা বলেন, ‘‘কৃষকদের রক্ত চোষা সরকার ও তার প্রসাশন। ফসলের ন্যাহ্য দাম পাওয়া যায়না। সরকারি দামে ধান বিক্রয়তেও জালিয়াতি ও দুর্নীতি। এখন সারের কালে বাজারী চললেও সরকার ও তার প্রসাশন শীতঘুমে।
সমবায় দপ্তরের সামনে বিক্ষোভের সুরে কৃষকরা বলেন,‘‘ প্রতি বোতল সুরার ছিপির জন্য তৃণমূলের রাজপুত্রের কোম্পানিকে পাঁচ টাকা অগ্রিম দিতে হয়।’’ 


সরকারি ভর্তুকি দেওয়া রাসায়নিক সার। ফসফেট সারের বস্তায় সরকারী দাম ১৪৭০টাকা। কিন্তু কৃষকদের দিতে বাধ্য করা হচ্চে ১৯০০ টাকা। ডিএপি, ফসফেট এমন সারের বস্তা প্রতি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা বেশী দাম দিয়ে কৃষকদের কিনতে হচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ করেছেন কৃষকেরা।
সমীর হাজরা, শম্ভু বাগ প্রমুখ কৃষক বলেন, ‘‘এবছর বন্যায় ঘাটাল ব্লক জুড়ে সমস্ত ধরনের ফসল নষ্ট। এখন শীতের মরসুম। সেই জমির যেখানে জল সরে গিয়ে শুকনো হয়েছে সেখানে চট জলদি আলু এবং সরষে লাগানোর সময়। আলু চাষে অধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার প্রয়োজন হয়। আর কৃষকরা চাষে নামতেই সারের সঙ্কট দেখা দেয়। আর এখন রাসায়নিক সার বিক্রিতে চলছে কালোবাজারি’’।


সমবায় সমিতির কর্মীদের সাফাই আড়তদারের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে রাসায়নিক সার তাই কৃষকদের কাছেও বেশি দাম নিতে হচ্ছে। কৃষকদের কাছে রাসায়নিক সারের বেশি দাম নেওয়ার জন্যই দিতে পারছেন না পাকা রশিদ। অর্থাৎ চুরি ঢাকতেই চিরকুটে বিল করে রাসায়নিক সার বিক্রি হচ্ছে। আর এনিয়ে ওই সমবায় সমিতির এক কর্মী অভিযোগ মানতে নারাজ, উল্টে তিনি সংবাদমাধ্যমের উপরই নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করে নিজেদের কারচুপি যেন ঢাকার চেষ্টা করলেন। যদিও এবিষয়ে ঘাটাল মহকুমা কৃষি আধিকারিক শ্যামাপদ সাঁতরার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন কোনভাবেই প্রিন্ট রেট থেকে বেশি দাম নেওয়া যাবে না, শুধু তাই নয় পাকা রশিদও দিতে হবে কৃষকদের। তবে তিনি এও জানান এখনও পর্যন্ত দপ্তরে কোনো অভিযোগ আসেনি এনিয়ে, অভিযোগ আসলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 

Comments :0

Login to leave a comment