TRAIN ACCIDENT

উদ্ধারকাজ শেষ, জানালো রেল
আসছেন মোদী

জাতীয় রাজ্য

অন্ধকারের মধ্যে চলছে উদ্ধারের কাজ।

চিন্ময় কর

 

উদ্ধারকাজ শেষ করে আনার দাবি জানালো রেল। শনিবার বেলায় রেল মন্ত্রকের মুখপাত্র অমিতাভ  শশর্মা বলেছেন উদ্ধারকাজ শেষ করা হয়েছে। এবার লাইন সরিয়ে ট্রেন চালানোর কাজ শুরু হচ্ছে।

কিন্তু ২০ বছরে ভয়ঙ্করতম এই দুর্ঘটনার কারণ জানায়নি রেল। সিগন্যালিং সিস্টেমের গুরুতর গলদের আশঙ্কা রয়েছে। 

শনিবার সকালে বালেশ্বরে যান ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এদিন গোয়া-মুম্বই ‘বন্দে ভারত’ভারত' এক্সপ্রেসের সূচনা করার কথা ছিল তাঁর।

রাতের অভিজ্ঞতা মনে করে কেঁপে উঠছেন রেল কর্মীরা। উদ্ধারের কাজে ছিল একাধিক বাহিনী। 

উলটে যাওয়া বগি থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে রক্তাক্ত যাত্রীদের। জানা যাচ্ছে, তাঁদের অনেকের গন্তব্য ছিল ভেলোর। চিকিৎসার জন্য এ রাজ্য থেকে অনেকেই যান সেখানে। 

শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে ৭টার মধ্যে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে বেলাইন হয়ে যায় ট্রেনটির একাধিক কামরা। মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেই ট্রেনটির ১৮টি কামরা বেলাইন হয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। 

ঘটনায় বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক যাত্রীর কথায়, "হঠাৎ করে এক বিকট আওয়াজ হয়ে থেমে যায় ট্রেনটি।"

ট্রেনটির ইঞ্জিনের পর থেকে স্লিপার ক্লাস, প্যান্ট্রি কার সহ একাধিক বগি বেলাইন হয়ে গিয়েছে। ঠিক কতজন যাত্রী আহত হয়েছেন বা কারও মৃত্যুর খবর রয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু সংঘর্ষের অভিঘাতে উলটে গিয়েছে বগি। ফলে আহত এবং নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা সর্বত্র। বিশেষত, রাতের অন্ধকারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঠিক কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তারপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল আধিকারিক, কর্মী সহ পুলিশবাহিনী। 

করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে মূলত ভেলোরে চিকিৎসা করাতে যান বহু মানুষ। ট্রেনটি হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে। ফলে এই ট্রেনে রাজ্যেরও বহু মানুষ থাকেন। এদিনও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে রাজ্যের বহু মানুষ ভেলোরে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। শিশু সহ প্রচুর বয়স্ক মানুষ ট্রেনে ছিলেন। ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে। ইতিমধ্যে ট্রেনের নিচে থেকে বহু বয়স্ক রোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত বহু মানুষ একটি বগির নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

 

রেল মন্ত্রকের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা ঘটনার বিবরণে জানিয়েছেন,
ধাক্কা লাগার পর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি উলটে পড়ে পাশের লাইনে। উলটে থাকা কামরার ওপর এসে পড়ে হাওড়া-যশবন্তপুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। 

রেলমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা গিয়েছেন। টুইটে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের ১০ লক্ষ টাকা। গুরুতর আহতদের জন্য ২ লক্ষ টাকা। যাদের আঘাত গুরুতর নয় তাঁদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। 

দুর্ঘটনার জেরে ১২টি ট্রেন বাতিল, ৮টি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

 

 

Comments :0

Login to leave a comment