রাসায়নিক বা আগুনের ব্যাবহারে ধ্বংস করে দেওয়া হল ভদ্রেশ্বর গর্জির মোড়ে আমবাগান। শতাধিক গাছ নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ। দিল্লীরোড সংলগ্ন গর্জির মোড়ে বেশ কয়েকবিঘা জমিতে এক সরোজ হালদার ও রামচন্দ্র হালদারের পরিবার কয়েক শতাধিক আমগাছের চারা বসিয়েছিলেন। বছর দুয়েক ভালো ফলনও হয়েছিলো। জানা গিয়েছে সম্প্রতি কেউ বা কারা কোন অসাধু উপায়ে গাছগুলিকে পুড়িয়ে দিয়েছে। সবুজ আমের পাতা ঝলসে লাল হয়ে গিয়েছে। ছোটভাই সরোজ হালদার কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। দাদা রামচন্দ্র হালদার বাগানের দেখাশুনা করেন।
পরিবার সহ এলাকার কৃষকদের অভিযোগ এই ঘটনাটি ঘটানোর পেছনে কোন অভিসন্ধি থাকতে পারে। ঘটনাটি জানার পরে বিজ্ঞানমঞ্চের নেতৃবৃন্দ চুঁচুড়ার ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের সঙ্গে দেখা করেন সব শুনে ফরেষ্ট আধিকারিকেরা জানান তারা কিছু জানেননা। সব শুনে হতভম্ব বিজ্ঞানমঞ্চের জেলা নেতৃবৃন্দ।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের হুগলী জেলা সহ-সম্পাদক সন্দীপ সিংহ জানান আগুন না রাসায়নিক বোঝা কঠিন তবে এত বড় জমিতে এতগুলো আমগাছ জ্বলে পুড়ে যাওয়া আগুন লাগিয়ে সম্ভব নয়। মনে হচ্ছে কোন বিষাক্ত রাসায়নিক দেওয়ার জন্যেই সম্ভবত গাছগুলি জ্বলে গেছে। অ্যাসিড বা ওরকম কিছু হতে পারে। গাছের পাতা গাঢ় বাদামি রং এর হয়ে গেছে। ডাল গুলিও শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে আগুন জ্বালিয়ে গাছের ভেতর থেকে এরকম ক্ষতি করা কঠিন।
পরিবেশের ফুসফুস হল গাছ। যখন গাছ রক্ষায় আমরা অঙ্গিকার করছি কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃত অরন্য ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছেন জমির লোভে অর্থের লোভে। প্রশাসন এক্ষেত্রে নিরব কেন? আমরা জেলা প্রশাসনের সব স্তরে জানাবো হুগলী জেলার প্রাণ গাছ এভাবে ধ্বংস হতে দিতে আমরা পারিনা। বিজ্ঞানমঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনাটি জানার পরেই হাওড়ার ডিএফও অফিসে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এবং এই ঘটনার প্রতিবাদে ব্যান্ডেল-মগরা বিজ্ঞানকেন্দ্রের পক্ষ থেকে পোষ্টারিং করা হয়েছে।
Comments :0