BRINDA KARAT on CAA

বিভাজনের লক্ষ্যে বিজেপি চালু করেছে সিএএ, ক্ষোভ বৃন্দা কারাতের

জাতীয়

হলদোয়ানিতে আক্রান্ত পরিবারের পাশে বৃন্দা কারাত এবং সিপিআি(এম) নেতৃবৃন্দ।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পুরোপুরি বিরোধী সিপিআই(এম)। এই আইন বিভেদমূলক। মেরুকরণ বাড়িয়ে নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে প্রয়োগ করা হলো। রাজ্যগুলিকে বাদ রেখে সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে সিপিআই(এম)’র অবস্থানকে বুধবার সংক্ষেপে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন পলিট ব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত। সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো আগেই বিবৃতিতে সিএএ’র বিধি চালুর বিরোধিতা করেছে।

বৃন্দা কারাত বলেছেন, ‘‘ভারতীয় নাগরিকত্বকে ধর্মীয় পরিচিতর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া গুরুতর মাত্রায় বিভেদমূলক।’’ তিনি বলেন, ‘‘যে সময়ে ঘোষণা করা আপত্তির সেটিও একটি কারণ। চার বছর ধরে আইনের বিধি হলো না। করা হলো একেবারে নির্বাচনের মুখে। বিজেপি মনে করছে আরও মেরুকরণ সম্ভব। এই মেরুকরণের ভরসাতেই বিজেপি চলে। মেরুকরণ এবং বিভাজন, বিজেপি’র মূল ভিত্তি।’’

কারাত বলেছেন, ‘‘আইনের বিধি সমূহ পুরোপুরি সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। রাজ্য সরকারগুলির কোনও ভূমিকাই থাকছে না। ডাক বিভাগ, রেল-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যকে কোনও দায়িত্বই দেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট কমিটিতে রাজ্যের থেকে কেবল দু’জনকে আমন্ত্রিত করা হয়েছে। যে কমিটি নাগরিকত্ব কাকে দেওয়া হবে কাকে হবে না সে সিদ্ধান্ত নেবে।’’ 

এর মধ্যে উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন কারাত। সিপিআই(এম)’র প্রতিনিধিদল নিয়ে আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। একটি মাদ্রাসাকে বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেয় রাজ্যের বিজেপি সরকার। প্রতিবাদ তীব্র হলে চলে গুলি, চলে লাঠি। বহু পরিবার এলাকাছাড়া।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে হারের ভয়ে সিএএ আইন কার্যকর করেছে বিজেপি সরকার। 

সিএএ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিভাগও। মানবাধিকার বিভাগের হাইকমিশনারের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে বলেচেন, ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন মূলগত বিচারে বিভেদমূলক। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিধি পালনের অঙ্গীকার থেকে সরে যাওয়ার শামিল।

Comments :0

Login to leave a comment