কমরেড অনারুল ইসলামের বাড়িতে গেলেন মহম্মদ সেলিম। ১৩ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরে বিক্ষোভের পর মারা যান তিনি। পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। কর্মসূচি তে ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম।
ডোমকলে কমরেড আনারুল ইসলামের বাড়িতে মহম্মদ সেলিম, ধ্রুবজ্যোতি সাহা। মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর বিক্ষোভ হয় সারা রাজ্যে। বহরমপুরে লাঠি কাঁদানে গ্যাস নিয়ে হামলা চালায় পুলিশ। অসুস্থ, আহত কমরেড আনারুল ইসলাম মারা যান বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে। আজ সারা রাজ্যে বিক্ষোভ।
বহরমপুরে পুলিশি বর্বরতায় নিহত কমরেড আনারুল ইসলামকে রক্তিম অভিবাদন জানালো সিআইটিইউ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের নিষ্ঠুর আচরণ এবং অগণতান্ত্রিক দমনের কড়া নিন্দা করা হচ্ছে।’’
১৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে শ্রমিক-কৃষক ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ কর্মসূচি। সারা দেশে কমরেড আনারুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেন।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, সংযুক্ত কিসান মোর্চার ডাকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে প্রতিবাদ। এ রাজ্যে সেই কর্মসূচিই পালিত হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি। ১৬ ফেব্রুয়ারি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকার কারণে। বহরমপুরে পুলিশের লাটি, কাঁদানে গ্যাসে আহত ও অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন ৫৩ বছরের কমরেড আনারুল ইসলাম। তাঁকে স্মরণ করেছে সারা ভারত কৃষকসভাও।
Comments :0