Budget 2025-26

পরোক্ষ করে ছাড় মাত্র ২ হাজার কোটির, প্রত্যক্ষ করে ১ লক্ষ কোটি

জাতীয়

দশ বছরে মেডিক্যাল শিক্ষায় ১৩০ শতাংশ আসন বেড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে বাজেট ভাষণে। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ভাষণে অনুল্লেখিত যে প্রায় সর্বত্র মেডিক্যাল শিক্ষায় দেদার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বেসরকারি ক্ষেত্রকে। নতুন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কারণে বেড়েছে আসন। সেই সঙ্গে শিক্ষাব্যবসার হাত ধরে লাফিয়ে বেড়েছে মেডিক্যাল শিক্ষায় পড়ার খরচও। 
সীতারামন জানিয়েছেন আগামী ৫ নছরে মেডিক্যাল শিক্ষায় ৭৫ হাজার আসন বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। 
বাজেট ভাষণে বলা হয়েছে দেশে ক্যানসার চিকিৎসায় ডে কেয়ার সেন্টার করা হবে সব জেলায়। চলতি অর্থবর্ষে ২০০টি হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু করা হবে। 
ওষুধের বিপুল দাম বেড়েছে গত দশ বছরে। দাম নিয়ন্ত্রণের তালিকায় থাকা ওষুধের সংখ্যা কমানো হয়েছে। তার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছে সরকার। সীতারামন সেদিকে তাকিয়ে ঘোষণা করেছেন যে ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধের ওপর থেকে আমদানি শুল্কে ছাড় দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপে নিম্নবিত্ত এবং গরিব বিপুল অংশ ওষুধের বাজারে খরচের দিক থেকে কতটা সুরাহা পাবেন, তা যদিও স্পষ্ট নয়।  
বাজেট ভাষণে ঘোষণা, নতুন করদান পদ্ধতিতে ৪-৮ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ে করের হার ৫শতাংশ। ৮-১২ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ে করের হার ১০ শতাংশ। ১২-১৬ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ে করের হার ১৫ শতাংশ। ১৬-২০ লক্ষ টাকায় ২০ শতাংশ। ২০-২৫ লক্ষ টাকায় ২৫ শতাংশ। ২৪ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে করের হার ৩০ শতাংশ। তবে নতুন করদান পদ্ধতিতে বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে আয়কর থাকবে না বলে ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারামন। 
প্রবীণদের জন্য টিডিএস’র আওতায় আসার ন্যূনতম সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকার ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে।  
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন নতুন অর্থবর্ষ, ২০২৫-২৬’র জন্য আয়করের মতো প্রত্যক্ষ করে ছাড়ের কারণে রাজস্বের ১ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। আর নিম্নবিত্ত এবং গরিব মানুষকে যে করের সিংহভাগ বইতে হয়, জিএসটি’র মতো সেই পরোক্ষ করে ছাড় হবে ২ হাজার কোটি টাকা।

Comments :0

Login to leave a comment