MANIFESTO YECHURY

ইশ্‌তেহার প্রকাশ করে তিন লক্ষ্য জানালেন ইয়েচুরি

জাতীয় লোকসভা ২০২৪

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে ইশ্‌তেহার প্রকাশ করছেন সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাত, বৃন্দা কারাত, তপন সেন এবং নীলোৎপল বসু।

দেশকে রক্ষা করার জন্যই দিল্লির সরকার থেকে হটাতে হবে বিজেপি-কে। বামপন্থীদের এবং সিপিআই(এম)’র শক্তি বাড়াতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের প্রতিষ্ঠা, যে সরকার জনমুখী বিকল্প নিয়ে চলবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ইশ্‌তেহার প্রকাশ করে এই তিন লক্ষ্য জানিয়েছে সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন পার্টি পলিট ব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাত, বৃন্দা কারাত, তপন সেন এবং নীলোৎপল বসু। 
ইয়েচুরি বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং গণরাজ। দেশের এই চরিত্র বিপন্ন হয়েছে। তাকে রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় কাজ। ভারতের এই চরিত্রকে রক্ষা করতে হবে। তার জন্য বিজেপি-কে পরাজিত করা জরুরি। 
তিনি বলেন, গত দশ বছর ধারাবাহিক চেষ্টা হয়েছে সংবিধানের মূল স্তম্ভগুলিকে ধ্বংসের। গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এবং সামাজিক ন্যায়- এই চারটি স্তম্ভের ওপরই লাগাতার আক্রমণ চলছে। দেশের সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। 
তিনি বলেন, এই সময়েই আমরা দেখেছি কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সিগুলিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য এই এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বিরোধীদের দমাতে। 
তিনি বলেন, কর্পোরেট-সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদের আঁতাত গড়ে তোলা হয়েছে। তাকে মজবুত করা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য জনতার এবং দেশের সম্পদের ধারাবাহিক লুট চালানো। রাজনৈতিক দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তা-ই আমরা হতে দেখেছি। 
তিনি বলেন, বড় বড় কর্পোরেটের বিপুল অঙ্কের ঋণ ছাড় দেওয়া হয়েছে। যার অঙ্ক প্রায় ১৭.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা। জনতার টাকা লুট করেই এই প্রক্রিয়া চলছে। জনতাকে রক্ষা করতে হবে। লুট চালানোর জন্যই সমানে জনগণের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আরেকদিকে মেহনতি জনতার জীবন যাপনের মান সমানে খারাপ হয়েছে। দশ বছরে প্রকৃত মজুরি, অর্থাৎ দামবৃদ্ধির তুলনায় মজুরি, বাড়েনি। বেনজির মাত্রায় কর্মহীনতা দেখা যাচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধিতে আক্রান্ত নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত। ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। আরেকদিকে বিপুল সম্পদ জড়ো হয়ে চলেছে ওপরতলার জনা কয়েক ধনীর হাতে। এই অবস্থা বদলাতে হবে। 
ইয়েচুরি বলেছেন, সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীদের শক্তিশালী হওয়া দরকার অবস্থা বদলানোর জন্যই। নিশ্চিত করতে হবে যে কেন্দ্রের সরকারের নীতিগত অভিমুখ যাতে বদলানো যায়। গত দশ বছরে কী দেখেছি। শ্রমজীবীদের সব অংশ বিভিন্ন দাবিতে বারবার পথে নেমেছে। যার অন্যতম উদাহরণ তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে লড়াই। কৃষকরা রাস্তায় নেমে তিনটি আইনকে বাতিল করতে বাধ্য করেছেন। 
তাঁর আহ্বান, নিশ্চিত করতে হবে যাতে কেন্দ্রে জনমুখী বিকল্পের নীতিতে চলা সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়।

Comments :0

Login to leave a comment