PANCHAYAT HIGH COURT

সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ হাইকোর্টের

রাজ্য

PANCHAYAT HIGH COURT

সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই নির্দেশ দিয়েছে। 

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে সিপিআই(এম) এবং আইএসএফ’র ৩ কর্মী খুন হয়েছেন বৃহস্পতিবার। মনোনয়নের গোড়ার দিনই খুন হয়েছেন কংগ্রেসের এক কর্মীও। বিডিও দপ্তরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনীর অবাধ দাপাদাপি দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে নিষ্করিয় হয়ে কার্যত গুন্ডাবাহিনীকে মদত দিতে দেখা গিয়েছে। 

এর আগে হাইকোর্ট বলেছিল স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে। কমিশন সেই রায়ের বিরোধিতা করে ফের আবেদন জানায় হাইকোর্টে। এদিন সকালেই প্রধান বিচারপতি কমিশনকে ধমকের সুরেই বলেছিলেন যে এরপর সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলে ভাল হবে? কিন্তু কমিশন এবং রাজ্য সরকার নারাজ। 

এদিন রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। খরচ বইবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় খেদ ঝরে পড়েছে আদালতের রায়ে। শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য এর আগে হাইকোর্ট একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল সেগুলি পালন না হওয়ায় কমিশনকে ভর্ৎসার মুখে পড়তে হয়েছে। 

আদালত বলেছেন, এখনও স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত হয়নি। গড়িমসি চলতে থাকলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বাড়বে। জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে। 

বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমার শেষ দিন। এদিনই কমিশনের দপ্তরের সামনে বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘‘অন্তত ৫০টি ব্লকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হলো না।’’ সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবাংলায় আইনের শাসন নেই। দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে। গুন্ডাদের সভাপতিত্ব করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এর চাইতে আর বড় অপরাধ হতে পারে না।’’ 

রাজ্যের সর্বত্র দেখা গিয়েছে ১৪৪ ধারা উড়িয়ে বিডিও দপ্তরে তৃণমূলের গুণ্ডাদের দাপাদাপি, বলেছেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, মনোনয়ন জমা জোর করে আটকানো হলে পুলিশের দায়িত্ব প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে ব্লক দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার। চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘মিনাখাঁয় লুকিয়ে ৬ বামফ্রন্ট প্রার্থী থানায় গিয়েছিলেন। ভোরবেলা পুলিশ তাঁদের থানা থেকে বের করে দিয়েছে। বলেছে বেলা এগারোটার আগে পুলিশের কোনও দায়িত্ব নেই।’’ 

এদিনই সকালে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় খুন হয়েছেন দুই সিপিআই(এম) কর্মী। কুড়িজনের বেশি আহত। মনোনয়ন দিতে যাওয়ার মিছিলে সরাসরি গুলি চলেছে। এই এলাকায় দু’দিন আগে অপহরণ করা হয়েছিল বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে। 

Comments :0

Login to leave a comment