ASEAN CHINA

কারও হয়ে ঠাণ্ডা যুদ্ধে জড়ানো সঙ্গত নয়, ‘আসিয়ান’-এ বার্তা চীনের

আন্তর্জাতিক

ASEAN CHINA

বড় কোনও শক্তির উসকানিতে ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করা ঠিক হবে। কোনও দেশের পক্ষেই এমন পরিস্থিতি মঙ্গলজনক হবে না। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির গোষ্ঠী ‘আসিয়ান’-র শীর্ষ সম্মেলনে এই বার্তা দিল চীন। 

বুধবারই এই শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পৌঁছাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৭ তারিখ ফিরবেন দিল্লিতে। তারপরই ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি-২০ গোষ্ঠীর শীর্ষ বৈঠক। 

চীন ‘আসিয়ান’ গোষ্ঠীর সদস্য না হলেও ভারতের মতো সহযোগী হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছে শীর্ষ সম্মেলনে। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ভৌগলিক অঞ্চলে সংশয় নতুন নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অংশেই নিজের প্রভাব বাড়াতে তৎপর হয়েছে এই অঞ্চলের দেশগুলিকে নিয়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে চীনের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। 

কি কিয়াঙ বলেছেন, ‘‘পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বিরোধ থাকে। একটি অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে মতানৈক্যও থাকে। তবে তাকে স্থায়ী ঠাণ্ডা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়া সঙ্গত নয়, কারও পক্ষে মঙ্গলজনকও নয়।’’ 

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিঙ হাজির নেই জাকার্তায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ রাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস অংশ নিচ্ছেন সম্মেলনে।  কি কিয়াঙ বলেছেন, ‘‘আজকের সময়ে কোনও একটি শক্তিধর দেশের হয়ে অবস্থান নিয়ে চলা সমস্যার। এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতাই করা উচিত। দেশগুলির উচিত পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব বিরোধ মেটাতে জোর দেওয়া।’’

মঙ্গলবারই চীন জানিয়েছে যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং স্বাভাবিক বলেই মনে করে তারা। 

চীন এবং আমেরিকার দ্বন্দ্ব ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা সমস্যা বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছে ‘আসিয়ান’ দেশগুলি। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বার্মা, ভিয়েতনাম, লাওস, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুরের মতো এই গোষ্ঠীর দেশগুলি কোনও শক্তিধরের পক্ষ না নেওয়ার অবস্থান জানিয়েছে। 

দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধের একটি কেন্দ্র বলে বারবারই সরব হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সহযোগীরা। তবে কূটনীতিতে চীনকে একঘরে করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অঞ্চলের দেশগুলিকে নিজের অক্ষে আনার চেষ্টাও চালাচ্ছে।  

Comments :0

Login to leave a comment