ফের গুলি চলল শীতলকুচিতে। এবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ শিতলকুচির ছোটশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নগরনেপড়া গ্রামে গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে দীর্ঘদিন বাড়ি ছাড়া থাকার পর আজিজুল মিয়া ওরফে লাল পরিবারের সাথে দেখা করতে এক সঙ্গীকে নিয়ে বাড়ি এসেছে। অভিযুক্ত লালের বিরুদ্ধে গরুপাচার, গুলিচালনার একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ লালের বাড়ি ঘেরাও করে ফেলেছে বুঝতে পেরে লাল ও তার সঙ্গী বাড়ির বাইরে এসে পালানোর রাস্তা খুঁজতে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। পালটা পুলিশও গুলি চালায়।
পুলিশের দাবি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুই পক্ষের গুলি চালনার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তকে ধরতে বুধবার রাতে শিতলখুচি থানার পুলিশ ছোটশালবাড়ির নগরনেপড়া গ্রামে যায়। অভিযুক্তের বাড়িতে ঢুকে পড়ার আগেই অভিযুক্ত আজিজুল মিয়া ওরফে লাল ও তার সঙ্গী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। প্রথমে পুলিশ কিছুটা হতচকিত হয়ে গেলে পুলিশও পালটা গুলি ছুঁড়তে থাকে। অভিযুক্ত লাল মোট ৪ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। প্রত্যুত্তরে পুলিশও ৬ রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিশের দাবি ওই সময়ে লালের বাড়িতে পাঠানঠুলি গ্রামের আরেক ব্যক্তি ছিলেন। যাকে পুলিশ চিহ্নিত করতে পারে নি। গুলির লড়াইয়ের মাঝেই অভিযুক্ত লাল ও তার সঙ্গী পালিয়ে যায়।
লাল কে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে লালের স্ত্রী ও মেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশের ওপর। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। সেই অস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহকুমা আধিকারিক অমিত ভার্মা। পরে পুলিশ আজিজুল মিয়া ওরফে লালের তার স্ত্রী আলিমা বিবি ও মেয়ে আল্পনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। মোট চার জনের বিরুদ্ধে পুলিশ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
শিতলখুচি ব্লকের ছোটশালবাড়ি সহ বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা শাসকদল ও বিজেপির এলাকা দখলের রাজনীতির জন্য উত্তপ্ত। বোমা, গুলি এখানে এখন স্বাভাবিক ঘটনা।
পুলিশ লালকে সমাজবিরোধী বলে চিহ্নিত করতে চাইলেও আসলে অভিযুক্ত শাসক দলের হয়ে বহু লড়াইয়ে শামিল হয়েছে এমন কথা বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আজিজুল মিয়া ওরফে লাল কে ধরতে না পারায় ফের এই এলাকা অশান্ত হবার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
Comments :0