DYFI's 'Insaf Yatra'

উদ্বেল শ্রমজীবীরা, ইনসাফের ভরসায় এগিয়ে এলেন আলুচাষীরাও

রাজ্য

ক্যাপশান- পূর্ব বর্ধমানের রানা পাড়ার প্রতিমা হিমঘরের শ্রমজীবী মহিলারা হাত নেড়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন ইনসাফ যাত্রাকে।

শঙ্কর ঘোষাল- জামালপুর

থায় আছে আলু আর ধান এই নিয়ে বর্ধমান। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে ধানের পর আলু একটি প্রধান অর্থকারী ফসল। দুটি ফসল কয়েক বছর ধরে চাষ করে চাষী ডুবছে। ফসলের দাম নেই। অথচ আলু বীজ কিনতে হচ্ছে কৃষককে চড়া দামে, কৃষকের আলু চাষে ব্যবহৃত সার নিয়ে চলছে কালোবাজারী। চাষের উপকরণ সব কিছুর দাম বাড়ে শুধু কৃষকের ফসলের দাম বাড়ে না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাষ করে কৃষক ইনসাফ পায়না। এমন অনেক না পাওয়া ইনসাফ নিয়ে  সরব ডিওয়াইএফআই। কোচবিহার থেকে কলকাতা ইনসাফ যাত্রা শনিবার মেমারী থেকে জামালপুরে প্রবেশ করেছে। এখানে প্রধান অর্থকারী ফসল যেহেতু আলু আর আলুর দাম নেই তা নিয়ে প্রধান চর্চা ইনসাফ যাত্রায়। এদিন জামালপুরে যুব সংগঠনের সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি বলেছেন, কৃষকের সাথে বেইমানি করছে রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার। বীজ, সার নিয়ে কালোবাজারী হচ্ছে কিন্তু সরকার নীরব দর্শক।  ফসল বিক্রি করতে চোখের জল ফেলতে হচ্ছে কৃষককে। এটা কেন হবে? শিল্পপতিরা তাদের পন্য তৈরির পর নিজেরা দাম ঠিক করে কিন্তু কৃষক নিজে ফসল তৈরি করলেও তাঁরা ফসলের দাম নির্ধারণ করতে পারে না। বাজারের উপর নির্ভর করতে হয়। এই সুযোগ নিয়ে সরকার ও পুঁজিপতিরা ঠকায় কৃষককে। এভাবে চলতে পারে না ইনসাফ পেতে কৃষককে লড়ায়ের রাস্তায় নামতে হবে। আত্মহত্যা কোন পথ নয়। লড়ে ইনসাফ আদায় করতে ডিওয়াইএফআই পাশে থাকবে কৃষকের।  ইতিমধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ধান ও আলুতে লাভ জনক দর না পেয়ে ঋণের দায়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বহু কৃষক। পূর্ব বর্ধমান জেলায় কৃষকের আত্মহত্যার মিছিলের মধ্যে জামালপুরেও আছে অনেক কৃষক। 

এদিন গ্রাম, মাঠ প্রান্তরে ঘুরেছে ইনসাফ যাত্রা। শুনেছেন পদযাত্রার প্রতিনিধিরা কৃষকের যন্ত্রনার কথা। এদিন জামালপুরে কুলীন গ্রামে ইনসাফ যাত্রা পৌঁছালে কৃষকরা অভিযোগ করেন এখানে আলু চাষের সার কালোবাজারীদের কাছে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ১৪০০ টাকার সার ২০০০ টাকায়। আলু বীজের দামও হঠাৎ ১৫০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকায় লাফ মেরে বেড়েছে। কৃষক কিভাবে চাষ করবেন, বাঁচবে কিভাবে? এক বিঘে আলু চাষ করতে খরচ ৩০হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা। চাষ করে দাম উঠছে না। এক দল কৃষক এদিন ইনসাফ যাত্রায় মিছিলে পা মিলিয়ে বলেছেন সরকারের কাছে গত ১০-১২ বছরে ইনসাফ পাচ্ছি না। শেখ ইব্রাহিম বলেছেন সরকারকে ধান বিক্রি করতে পারিনি। ধান যখন ওঠে সরকার ঘুমিয়ে থাকে অভাবী বিক্রি হবার পর সেই ধান ফড়েদের কাছে সরকারী মূল্যে কেনে। এই সরকারের মন্ত্রী চোর, নেতারাও চোর। কৃষক পড়েছে জাঁতাকলে। কৃষকরা দলবদ্ধভাবে অভিযোগ করেছেন, দেখুন আলু চাষ করার জন্য সার, বীজ কিভাবে ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যাবে সে নিয়ে মাথা ব্যথা নেই সরকারের, শাসকদলের নেতাদের কিন্তু আলু ওঠার পর সেই আলু হিমঘরে রাখার বন্ড কৃষককে দেওয়া হবে না। সেখানেই তৃণমূলের নেতারা বন্ধ নিয়ে কালোবাজারী করবে। আমরা ইনসাফ চাই।

Comments :0

Login to leave a comment