AAP LIQUOR ATISHI

আদালত বলেছে প্রমাণ নেই,
আবগারি অভিযোগে দাবি ‘আপ’ নেত্রীর

জাতীয়

AAP LIQUOR ATISHI

দিল্লিতে আবগারি কেলেঙ্কারির কোনও প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি বা সিবিআই। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে দিল্লির একটি আদালতের রায়ের উল্লেখ করে এই দাবি করেছেন আম আদমি পার্টি নেত্রী অতিসি। 

দিল্লির ‘আপ’ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বও এখন সামলাচ্ছেন অতিসি। ‘আপ’ নেতা মনীশ সিসোদিয়া তদন্তের কারণে বিচারাধীন বন্দি। সিসোদিয়াই ছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রী। ইডি এবং সিবিআই’র অভিযোগ, ‘আপ’ সরকার দিল্লিতে নতুন আবগারি নীতি চালু করে। মদ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয় ব্যবসায়িক সংস্থাকে। তার বিনিময়ে অবৈধ টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই টাকা ‘আপ’ ব্যবহার করেছে নির্বাচনে। 

সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর দাবি, দিল্লির একটি আদালত ৮৬ পাতার রায়ের এক জায়গায় বলেছে যে মদের লাইসেন্স থেকে তোলা আদায় করে নির্বাচনে ব্যবহারের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

অতিসীর সাংবাদিক সম্মেলনের পরই যদিও পালটা অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দলের দিল্লির মুখপাত্র হরিশ খুরানা টুইটে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। বিজেপি নেতার দাবি, এর আগে দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল যে ‘প্রাথমিক বিচারে অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্রের প্রধান চক্রী মণীশ সিসোদিয়া।’ খুরানা বলেছেন, ‘আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল যে আবগারি নীতির পরিকল্পনা এবং তার প্রয়োগেও গভীর ভাবে জড়িত সিসোদিয়া।’ 

এর আগে আদালতে সিসোদিয়ার পক্ষে জামিনের একাধিক আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। ১১ মে জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে দিললির সংশ্লিষ্ট আদালতে। 

রায়ে বলা হয়েছে দাবি জানিয়ে অতিসি বলেছেন, ‘‘সিবিআই এবং ইডি বলেছিল ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে ৩০ কোটি টাকা গোয়ার নির্বাচনে নগদে ছড়ানো হয়েছে। ইডি এবং সিবিআই গোয়ায় পড়ে ছিল। কিন্তু তারাই আদালতে জানিয়েছে যে ‘আপ’ নির্বাচনে নগদে খরচ করেছে ১৯ লক্ষ টাকা।’’ 

এ মাসেই যদিও ইডি অতিরিক্ত চার্জশিট দায়ের করে অভিযোগ তুলেছে যে দিল্লিতে বেসরকারি সংস্থাকে মদ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়ায় ৬২২ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে। চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই-ও। অতিসি রাজনৈতিক আক্রমণ করে বলেছেন, ‘‘ইডি বা সিবিআই যে চার্জশিট দেয় তার বয়ান লেখা হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।’’

মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেপ্তারিতে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বিরোধী বিভিন্ন দলই। গ্রেপ্তারির আগে সিসোদিয়ার বাসভবন এবং দপ্তরে কয়েক দফার তল্লাশি হয়। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেরও বিশদ খুঁজে দেখে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু অভিযোগে থাকা এই বিপুল টাকা কোথায় গিয়েছে সেই ‘মানি ট্রেইল’-র হদিস আদালতে দিতে পারেনি তদন্ত সংস্থা। ব্যক্তিগত সম্পত্তি আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন, এমন তথ্য আদালতে পেশ হয়নি বলে দাবি আম আদমি পার্টির। গোয়া এবং পাঞ্জাব নির্বাচনে এই টাকা ব্যবহারের প্রমাণ দাখিল করতে বলেছিল আদালত। এই তদন্তে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন ‘আপ’ নেতা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।   

Comments :0

Login to leave a comment