সংসদীয় রাজনীতি এবং সংবিধান বহির্ভূত রাজনীতির সম্মেলনে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন জ্যোতি বসু। তাঁকে স্মরণে রেখেই আজকের সময়কে বিশ্লেষণ করা জরুরি। তার জন্য গবেষণা, চর্চার কেন্দ্র হয়েছে জ্যোতি বসুর নামে।
বুধবার কলকাতায় অজিত সেন ভবনে ব্যাঙ্ককর্মীদের অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন জ্যোতি বসু নামাঙ্কিত ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। অনুষ্ঠানে ছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। 
জ্যোতি বসু সমাজচর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের জন্য ১১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা বিমান বসুর  হাতে তুলে দিয়েছে ব্যাঙ্ককর্মী সংগঠন বিইএফআই। সংগঠনের পক্ষে এই অর্থ তুলে দেন রাজ্য সম্পাদক জয়দেব দাশগুপ্ত। 
এদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন বেফি রাজ্য সভাপতি অশোক দাস, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস বসুচৌধুরী, রাজ্য সম্পাদক জয়দেব দাশগুপ্ত।
বসু বলেছেন, হঠাৎ করে জননেতা হননি জ্যোতি বসু। বিদেশ থেকে যখন ফিরেছিলেন বাংলা বলতে পারতেন না। জ্যোতিবাবুই সেকথা আমায় বলেছিলেন। মুজফফ্র আহ্মদের সঙ্গে দেখা করে শ্রমিকদের মধ্যে কাজ করতে চেয়েছিলেন। প্রথমে বন্দরে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। সরাসরি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল না। কেবল চিঠিপত্র লেখার কাজ করতে হচ্ছিল। তিনিই সেকথা জানান মুজফ্ফর আহমদকে। কাকাবাবু তাঁকে এরপর পাঠান কাঁচড়াপাড়া রেল ওয়ার্কশপে। সেখানে তাঁর প্রথম প্রকাশ্য সভায় ছিলেন মাত্র ৩৭ জন শ্রোতা। কিন্তু ভাষণ দিতে গিয়ে বোঝেন তাঁকে ভালো বাংলা বলা শিখতে হবে। ভূপেশ গুপ্ত তাঁর বন্ধু, সহায়তায় এগিয়ে আসেন। জ্যোতিবাবু বাংলা পড়তে পারতেন, বলতে পারতেন না। স্কুলে কলেজে বাংলা বলার সুযোগ পাননি। বাংলা রপ্ত করেন শ্রমিকদের মধ্যে কাজের জন্য। ১৯৪৬-এ কমিউনিস্ট পার্টির যে তিনজন জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন তাঁর মধ্যে ছিলেন জ্যোতিবাবুও। 
জয়দেব দাশগুপ্ত বলেছেন, শ্রমজীবীর লড়াইয়ে সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন জ্যোতি বসু। ব্যাঙ্ককর্মীদের বহু আন্দোলনের পাশে থেকেছেন সরাসরি। একই ভূমিকা স্মরণ করিয়েছেন অশোক দাসও। 
ব্যাঙ্ককর্মী আন্দোলনের নেতৃত্ব মনে করিয়েছেন, কখনও মধু দণ্ডবতে কখনও পি চিদাম্বরম, আবার কখনও মনমোহন সিং- কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীদের কড়া ভাষায় চিঠি লিখেছেন ব্যাঙ্ককর্মীদের পক্ষে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কশিল্পকে রক্ষা করা পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে বারবার শ্রমজীবীর লড়াইয়ে থেকেছেন সঙ্গে। 
সেলিম বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির বিরুদ্ধে পাহাড়ের মতো বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পেরেছিলেন তিনি। সে সময়ে তিনি যাদের বলেছিলেন অসভ্য-বর্বর, আজ আমরা বুঝতে পারছি সে কথা কত বড় সত্যি।
BEFI JBCSSR
শ্রমজীবীর লড়াইয়ের সঙ্গী, জ্যোতি বসু কেন্দ্রে অর্থ দিয়ে বললেন ব্যাঙ্ককর্মীরা
 বুধবার কলকাতায় অজিত সেন ভবনে বিমান বসুর হাতে ১১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা তুলে দিচ্ছেন জয়দেব দাশগুপ্ত। রয়েছেন মহম্মদ সেলিম, অশোক দাস এবং দেবাশিস বসুচৌধুরী।
                                    বুধবার কলকাতায় অজিত সেন ভবনে বিমান বসুর হাতে ১১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা তুলে দিচ্ছেন জয়দেব দাশগুপ্ত। রয়েছেন মহম্মদ সেলিম, অশোক দাস এবং দেবাশিস বসুচৌধুরী।
                                
                                    ×
                                    ![]() 
                                
                                                         
                                         
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    
Comments :0