এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ভাবে নিজেদের জমি তৈরি করার চেষ্টা করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। তাদের অভিযোগ আরএসএস ঘনিষ্ট অধ্যাপকদের নিয়োগ করা হয়। তাদেরকেও এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবহার করা হয়েছিল ছাত্রদের প্রভাবিত করার জন্য।
কাশ্মীরি গেট ক্যাম্পাসে ২৮টি আসনের মধ্যে ১৬টি জয়ী হয়েছে এসএফআই। এই ক্যাম্পাসে ১৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করে এসএফআই।
কারামপুরা ক্যাম্পাসে সাতটি আসনে লড়াই করে পাঁচটিতে জয়ী হয়েছে এসএফআই। লোধি ক্যাম্পাসে একটি আসনে এবং কুতুব ইনস্টিটিউশন এরিয়ার দুটি আসনে জয়ী হয়েছে এসএফআই।
উল্লেখ্য দিল্লির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এরাজ্যে দেখা যাচ্ছে ২০১৭ সালের পর থেকে আর হয়না ছাত্র সংসদ নির্বাচন। দিল্লিতে দীর্ঘ আন্দোলনের পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছিনিয়ে আনতে পেরেছে এসএফআই। এসএফআই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ুখ বিশ্বাসের কথায়, ‘‘ক্যাম্পাসে ছাত্র ছাত্রীদের গণতান্ত্রিক অধিকার গলা টিপে ঙেরে ফেলার যেই চক্রান্ত আরএসএস এবং বিজেপি করেছিল তার বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল এসএফআই। এই নির্বাচনী ফলাফল তারই প্রতিফলন। এই ফলাফল বুঝিয়ে চিল ছাত্র ছাত্রীরা এবিভিপি নয়। বামপন্থীদের দিকে আছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা দেখছি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মতো পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছে। তার জন্য এসএফআই লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। দিল্লিতে যে ভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছিনিয়ে আনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেরও তার পুনরাবৃত্তি হবে।’’
Comments :0