গ্রামে কাজ নেই। রাজ্যের গ্রাম থেকে কমবয়সী ছেলেমেয়েরা চলে যাচ্ছে অন্য রাজ্যে। লুটের রাজনীতি কাজের সুযোগ কেড়ে নিয়েছে। লুটেরাদের হটাতে হবে পঞ্চায়েত থেকে। পঞ্চায়েত ভোটে বুথরক্ষা করবে যুবরা।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে যুব সমাবেশ থেকে এই মর্মে বার্তা দিয়েছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষি মুখার্জি। তিনি বলেছেন, ‘‘যার যেখানে ইচ্ছে সেখানে যাতে ভোট দিতে পারে নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য দায়িত্ব নিতে হবে যুবদের। যুবরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথরক্ষা করবেন।’’
সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুরের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দুই প্রাক্তন যুবনেতা, সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য আভাস রায়চৌধুরী। মাঠ ছাপিয়ে ওঠা প্রাণোচ্ছ্বল জমায়েত বারবার তুলেছে স্লোগান। প্রাঙ্গণ প্রাণময় হয়েছে একের পর এক মিছিলে।
মীনাক্ষি মুখার্জি বলেছেন, ‘‘যাঁরা লোকসভা বা বিধানসভায় বামপন্থীদের ভোট দেননি, আজ তাঁরাও এসেছেন সমাবেশে। জীবনের অভিজ্ঞতায় বুঝেছেন কাজের দাবিতে, রোজগারের দাবিতে লড়ছে কারা।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘অবাধে লুট বন্ধ করছে কাজের সুযোগ। পঞ্চায়েতে চলছে দুর্নীতি, লুট। গ্রাম থেকে চলে যেতে হচ্ছে অন্য রাজ্যে। আমাদের দেখিয়ে বলা হচ্ছে, ‘এরা কারা’। আমরা তারা যাদের নাম ডিয়ার লটারিতে ওঠে না। যারা জেলে যেতে ভয় পায় না। জেল থেকে বেরিয়ে ফের সকলের জন্য কাজের দাবিতে লড়াইয়ে নামতে ভয় পায় না।’’
বিজেপি’র রাজনীতি ব্যাখ্যা করে এই যুবনেত্রী বলেছেন, ‘‘একমুখী রাষ্ট্র গড়তে চাইছে। বলছে হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান। এরা হিন্দুদেরও দেখে না। আসল কথা কাজ, আসল কথা পেটপুরে খাবার। বিজেপি’র নীতি কাজ কেড়ে নিচ্ছে, খাবার কেড়ে নিচ্ছে।’’
পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের অভিজ্ঞতা মনে করিয়েছেন মীনাক্ষি। তিনি বলেছেন, ‘‘গ্রামে গরিব জমি পেয়েছিলেন। চাষ করেছেন। চাষের কাজে জোগান খেটেছেন। খেয়ে-পরে থাকার উপায় ছিল। তৃণমূল সরকার সেই উপায় কেড়ে নিয়েছে। ১১ বছরে রাজ্যের ৫৬ হাজার কারখানা বন্ধ করেছে। লুটের রাজনীতিতে বন্ধ হয়েছে বহু খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা।’’ তিনি মনে করিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে স্কুলশিক্ষার বিস্তার, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্বচ্ছ নিয়োগের পর্বকে।
মীনাক্ষিও বলেছেন যে লুটের তালিকা থেকে নাম সরাতে প্রকাশ্যে-গোপনে বৈঠক করছে বিজেপি আর তৃণমূলের নেতারা। দু’পক্ষকেই পরাজিত করে বুথরক্ষার ডাক দিয়েছেন।
Comments :0