সাজানো ঝুটা লড়াই নয়। মানুষের ইস্যুতেই প্রতিদিন রাস্তায় থেকে লড়বে যুবরা। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই চলবে লড়াই। সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখেই চব্বিশ ঘন্টা রাস্তায় রয়েছে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। আরও বেশি মানুষকে জুড়ে হারাতে হবে তৃণমূলকে, বিচ্ছিন্ন করতে হবে বিজেপিকে। কেন্দ্র থেকে সরাতে হবে আরএসএস, বিজেপি’র সরকারকে। মঙ্গলবার রেজিনগরে সভা থেকে এই আহ্বান জানালেন ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব। এদিন রেজিনগরে তেঘরি নাজিরপুর ফুটবল মাঠে সভা করে যুবরা। সভা থেকে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি বলেছেন, রাজ্য বাড়ছে অপুষ্টি। বাড়ছে সবাস্থ্যে সংকট। নজর নেই মোদী, মমতার সরকারের। হাসপাতালে বাড়ছে রক্তের প্রয়োজনীয়তা। মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে যুব কর্মীরাই। সামাজিক কাজে আরও মানুষকে যুক্ত করতে হবে।
সমাবেশ থেকে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা বলেন, যুবক যুবতী থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে বঞ্চনা করছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এভাবে আর চলবে না। ইনসাফ যাত্রায় সাধারণ মানুষের ইস্যু সামনে এনেছে ডিওয়াইএফআই। রুটি রুজির দাবিতে তীব্রতর হবে লড়াই।
এদিন সমাবেশ থেকে রেজিনগর শিল্পতালুকে শিল্প ও স্থানীয় যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের দাবিতে সরব হয়েছেন ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব। ২০০৮ সালে রেজিনগর শিল্পতালুকের শিলান্যাস করেন তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শিল্পস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। তবে রাজ্যে তৃণমূলের সরকার আসাত্র পর ছেদ পড়ে শিল্পের উদ্যোগে। শিল্পতালুকে হয় নি কোন কারখানা। বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি বিলোলেও হয় নি কোন শিল্প। কাজ পান নি মুর্শিদাবাদের যুবক যুবতীরা।
এদিন মিনাক্ষী মুখার্জি বলেন, রেজিনগরে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্প গড়তে কোন উদ্যোগ নেয় নি সরকার। জুট পার্কও অথৈ জলে। যে লড়াই মানুষকে কাজ দেবে সেই লড়াইকে শক্তিশালী করতে হবে।
এদিন সমাবেশে ছিলেন প্রাক্তন যুব নেতা রামচন্দ্র ডোম, জামির মোল্লা। সমাবেশে মিনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সন্দীপন দাস, সৈয়দ নুরুল হাসান, জিল্লার রহমান।
Comments :0