বৃষ্টি বাড়তেই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। উদ্বেগ বাড়িয়ে মিলছে একাধিক মৃত্যুর খবরও।
সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশেও ব্যাপক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। মৃতের সংখ্যা দু’শোর কাছে পৌঁছে গিয়েছে সরকারি হিসেবেই। দুই বাংলাতেই উদ্বেগ ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু।
কলকাতার বাঙুর অ্যাভেনিউর বাসিন্দা ছাব্বিশ বছরের রিঙ্কি রায়ের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৮ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। একটি বেসরকারি হাসপাতালে হরিপদ মিস্ত্রি নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নদীয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
নদীয়ারই রানাঘাটের বাসিন্দা উমা সরকারের মৃত্যু হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে।
বর্ষার শুরু থেকে শীতের আগে পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর আক্রমণে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে গত কয়েক বছর ধরেই। কলকাতা সহ বিভিন্ন পৌর প্রশাসন বাড়াবাড়ির সময় সতর্কতার কথা বলে। তবে জল জমা, আবর্জনা পড়ে থাকার সমস্যার নিরসন হয় না।
গত মরশুমেও কলকাতায় একের পর এক ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর মিলেছিল। এখনই পৌর প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের মিলিত উদ্যোগে সচেতনতা এবং চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি রাখার দাবি উঠেছে নাগরিক মহলে।
এর আগে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশেও ব্যাপক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। সে দেশের প্রশাসনই জানাচ্ছে যে হাসপাতালে ভর্তি বহু। মঙ্গলবার বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস জানিয়েছে শেষ চব্বিশ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৮৫ ছুঁয়েছে। আক্রান্তের নথিভুক্ত সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
Comments :0