Chandrayaan-3 and Dhaniakhali

চন্দ্রযানে জুড়ে ধনিয়াখালির কুমার পরিবার

রাজ্য

ইসরোয় কর্মরত দুই সন্তান। মধুসূদন ও অসীমা কুমার তাকিয়ে চন্দ্রযানের দিকে।

প্রথম ধাপে সফল চন্দ্রযান-৩। পৃথিবীর কক্ষ পথে পৌঁছেছে শুক্রবার, উৎক্ষেপণের কিছু পরেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদের মাটিতে নামবে তো রোভার! দেশবাসীর সঙ্গে আশা উৎকণ্ঠায় দুলছেন ধনিয়াখালির কুমার পরিবার।

মধুসূদন আর অসীমা কুমারের দুই সন্তানই মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইসরো’য় কর্মরত। চন্দ্রাভিযানে জুড়ে থাকা আর পাঁচজনের চেয়ে খানিক বেশিই হুগলীর ধনিয়াখালি থানার গুড়াপের খাজুরদহ মাজিনান শিবপুর গ্রামের এই দুই বাসিন্দার।

 

চন্দ্রযান-২’র যোগাযোগের অ্যান্টেনার ডিজাইনের দায়িত্ব ছিলেন বছর বিয়াল্লিশের বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্ত কুমার। ইসরো’র জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে কর্মরত তিনি। ভাই শশীকান্তও ইসরোয় মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ার। দুই ছেলেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় কর্মরত।

 

চন্দ্রযান-২ লক্ষ্যে ঠিক আগে থেমে গিয়েছিল। চাঁদের মাটিতে নামার মুখে ভেঙে পড়েছিল যান। সেই আফশোস এখনও কাটেনি কুমার দম্পতির। বড় ছেলে চন্দ্রকান্ত কুমার সেই মিশনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। ২০১৯’র ২২ জুলাই উৎক্ষেপণ হলেও ৬ সেপ্টেম্বর ল্যান্ডার বিক্রমকে চাঁদের পিঠে নামাতে ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২। 

ত্রুটি মুছে এবার চাঁদের মাটি ছোঁওয়ার লক্ষ্য চন্দ্রযান-৩’র। সেই লক্ষ্য সফল হোক, মনেপ্রাণে চাইছেন দুই বিজ্ঞানীর মা বাবা।

বছর আটষট্টির মধুসূদন কুমার এখনো কৃষি কাজ করেন। ছেলেরা বছরে এক দু’বার আসেন। গত জানুয়ারিতে গ্রামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন চন্দ্রকান্ত। দূরে থাকলেও প্রতিদিনই ছেলেদের সঙ্গে কথা হয় মধুসূদন কুমারের। 

মিশন চন্দ্রযান-৩’র সঙ্গে এবার সরাসরি নেই চন্দ্রকান্ত। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় যেখান থেকে চন্দ্রযান-৩ র উৎক্ষেপণ হয়েছে, সেখান থেকে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার দূরে, বেঙ্গালুরুতে ইসরোর কোয়ার্টারে গভীর উৎকন্ঠায় রয়েছে তিনিও। কারণ তাঁদের টিমের পাঠানো চন্দ্রযান-২’র অরবিটর, যা চাঁদের কক্ষপথে রয়েছে, তাঁর সাহায্য নেবে চন্দ্রযান-৩’র ভিতরে থাকা ল্যান্ডার অরবিটর।

ধনিয়াখালির কুমার পরিবার শ্রীহরিকোটার সঙ্গে যেন জুড়ে রয়েছেন।

ইসরোয় কর্মরত দুই সন্তান। মধুসূদন ও অসীমা কুমার তাকিয়ে চন্দ্রযানের দিকে। ছবি: অভীক ঘোষ

Comments :0

Login to leave a comment