আইএসএলে দু’ম্যাচ পর জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল লাল হলুদ শিবির। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন বেঙ্গালুরু এফসির প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ক্লেইটন সিলভা।
ইস্টবেঙ্গল তাঁদের ঘরের মাঠে এখনও একটি ম্যাচ জিততে না পারলেও দু’টি অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতল। নর্থ ইস্টের পর বেঙ্গালুরু ম্যাচ। এমনিতেই ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলের ইতিহাসে বেঙ্গালুরু এফসি একমাত্র দল যাদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি সাক্ষাতে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে, আগে দু’বার জিতেছিল, শুক্রবার জিতে সুনীলের বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয়ের সংখ্যা বাড়িয়ে নিল। তিন পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকায় এক ধাপ উঠে আট নম্বরে এখন ইস্টবেঙ্গল (ছয় ম্যাচে ছয় পয়েন্ট)।
শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামটি ইস্টবেঙ্গলের কাছে পয়মন্তই বলা যায়, অতীতে এই মাঠে বেশ কয়েকটি স্মরণীয় জয় পেয়েছে লাল হলুদ। টানা দু’ম্যাচ হারের পর এই জয় সামনের ম্যাচগুলিতে ইস্টবেঙ্গলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে। যুবভারতীতে, আগামী ১৮ নভেম্বর ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে হারের পরও সমর্থকরা দলের পাশে থেকেছেন। বহু সভ্য সমর্থক কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিল দলের ম্যাচ দেখতে। এদিন আর নিরাশ হতে হলো না। ম্যাচ শেষে তাঁদের মুখে দেখা গেল চওড়া হাসি।
তবে ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল বেঙ্গালুরুর। তাঁরা একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল। তবুও গোলের দেখা মেলেনি। পালটা আক্রমণ করছিল ইস্টবেঙ্গলও। ১২ মিনিটে কিরিয়াকুর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের উল্লেখ্যযোগ্য মুহূর্তটি এসেছিল ২৮ মিনিটে। বক্সের মধ্যে বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান ক্লেইটনকে ফেলে দেন। ইস্টবেঙ্গল শিবির পেনাল্টির জন্য আবেদন করেছিল রেফারির কাছে। তাঁদের আবেদনে রেফারি কর্ণপাত করেননি। আইএসএলে রেফারিং নিয়ে বহু দলই খুশি নন, গত বুধবারও এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্ডো প্রকাশ্যে বলেছেন, ভারতীয় রেফারিরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, শুক্রবারের পর সমালোচনা আরও বাড়বে।
প্রথমার্ধে গোলশূন্য শেষ হয়। বিরতির পর বেঙ্গালুরুর খেলায় নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সুযোগ হাতছাড়ার সঙ্গে মিস পাসের ছড়াছড়ি ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সুনীল ও রয় কৃষ্ণ দু’জনেই সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। ৬৪ মিনিটে ফিজির স্ট্রাইকার বাইরে মারেন। আইএসএলে ৩৭ গোল করা কৃষ্ণর এমন মিস সত্যিই অবিশ্বাস্য। আরেকবার কৃষ্ণার পায়ের থেকে দুরন্ত ফাইনাল ট্যাকেলে বল কেড়ে নেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেজ। ৬৯ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। পিছনে থেকে দৌড়ে সুরেশকে শরীর ঝটকায় ফেলে নাওরেম মহেশ ফাঁকায় দাঁড়ানো ক্লেইটনকে বল বাড়ান। ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার গোল করতে কোনও ভুল করেননি।
Comments :0