গত বছরের শেষ তিন মাসে মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। সাফল্যের প্রচারে শুক্রবারও এই তথ্যের উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তথ্যের গভীরে গিয়ে প্রশ্ন উঠছে সাফল্যের দাবিতে।
মোট জাতীয় উৎপাদনের সঙ্গে নিট কর আদায় যোগ করলে মেলে অর্থনীতির মোট মূল্য সংযোজন বা ‘গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড’ (জিভিএ)। নিট কর বলতে বোঝায় কর বাবদ আদায় এবং ভরতুকি বাবদ খরচের ফারাককে। জিভিএ’র হিসেবে দেখা যাচ্ছে গত বছরের শেষ তিন মাসে বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ। ২০২২’র তুলনা ২০২৩’র অক্টোবর-ডিসেম্বরে জিডিপি বৃদ্ধির হার যদিও ৮.৪ শতাংশ।
কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ভরতুকির তুলনায় অর্থনীতিতে কর আদায় কমেছে। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে অর্থনৈতিক লেনদেনের মাত্রা কমেছে। পণ্য ও পরিষেবা কিনতে ব্যক্তিগত খরচ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৩ শতাংশ দাঁড়াবে বলে ধরা হচ্ছে। গত ২০ বছরে ব্যক্তিগত ব্যয় বৃদ্ধির হার এত কম কখনও হয়নি।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদেরও বিভিন্ন অংশ মনে করছেন একটি ত্রৈমাসিকে মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি বৃদ্ধির হার দেখিয়ে অর্থনীতির সামগ্রিক বিচার ঠিক হবে না। চাহিদা বাড়ছে না অর্থনীতি। সাধারণ মানুষের অবস্থা কঠিন হচ্ছে।
একাংশ বলছেন, মোদীর মেয়াদে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ভরতুকি মারাত্মক কমেছে। তার ওপর তেলের কর চাপিয়ে আগের তুলনায় বিপুল আদায় হয়েছে গত দশ বছরে। তবু নিট করের ছবি আশাপ্রদ হচ্ছে না। আসলে আমজনাতর নিয়মিত ভোগব্যয় কমে যাচ্ছে।
কংগ্রেসের বক্তব্য, ইউপিএ সরকারের দশ বছরে গড়ে বৃদ্ধির হার থেকেছে ৭.৫ শতাংশ। মোদীর দশ বছরে বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হারের গড় ৫.৮ শতাংশ। প্রচারের হাজার ঢাক বাজালেও এই সত্য ঢাকা যাবে না।
GDP rate Modi and Ramesh
জিডিপি-জিভিএ ফারাক, মোদীর বৃদ্ধির প্রচারে প্রশ্ন
×
Comments :0