HAM RADIO GANGASAGAR

গঙ্গাসাগর থেকে ঝাড়খণ্ডের মহিলাকে বাড়ি ফেরালো হ্যাম রেডিও

জেলা

গঙ্গাসাগরে বাবা, মা’র সঙ্গে দস্যি ওঁরাও।

অনিল কুণ্ডু -গঙ্গাসাগর

ঝাড়খন্ডের বাড়িতে ফিরলেন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। তবে বছর দেড়েকের পুত্র সন্তানকে ছাড়াই বাড়ি ফিরে গেলেন ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা দস্যি ওঁরাও। সোমবার গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পুলিশ তাঁকে তাঁর বাবা, মা’র হাতে তাঁকে তুলে দেন। এক মর্মস্পর্শী ঘটনার সাক্ষী থাকলো সাগরদ্বীপ। 

নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পেয়ে আদিবাসী বাবা, মা’র চোখে আনন্দাশ্রু ঝরে পড়ল। তাঁদের বাড়ি ঝাড়খন্ডের গুমলা জেলার ভারনো থানার পাহাড়কেশা পাত্রতলি গ্রামে। 

গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পুলিশে খোঁজ পায় সঙ্গী হারানো এই মহিলার। পুলিশ তাঁর পরিচয়, ভাষা বুঝতে না পেরে শুক্রবার হ্যাম রেডিও’র স্মরণাপন্ন হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যাম রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরিশ নাগ বিশ্বাস এবিষয়ে সোমবার বিকালে জানান, ‘‘আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধি দিবস মন্ডল তাঁর সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারে ওই গৃহবধূ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। একেক বার একেক রকম কথা বলছেন। মাঝে মাঝে বলছেন ছটুয়া, ছটুয়া কোথায় গেল। কথা বলে বোঝা গেল তাঁর বাড়ি ঝাড়খন্ডে। এরপর আমরা ঝাড়খন্ডের হ্যাম প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর বাড়ির খোঁজ পাই। ভিডিও কলে বাবার সঙ্গে নিখোঁজ মেয়ের কথা বলানো হয়।’’ 

আদিবাসী ওই মহিলার শ্বশুড়বাড়িও একই গ্রামে। স্বামীর নাম শ্রী ওঁরাও।  ঝাড়খন্ডের  আদিবাসী পরিবারের এই বাসিন্দারা সকলেই ইট ভাটার শ্রমিক। দসি ওঁরাওয়ের বাবা লোহরা ওরাও তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে সোমবার গঙ্গাসাগরে আসেন। তাঁর কথায়, ‘‘দেড় বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে মেয়ে নিখোঁজ হয়। স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। চারিদিকে খোঁজ করেও তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। গঙ্গাসাগর মেলায় কিভাবে পৌঁছল তাও তাঁদের অজানা।’’ 

দস্যি ওরাও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় মনেও করতে পারছে না কোলের সন্তানকে কোথায় রেখেছেন বা কে নিয়েছে। তবে গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পুলিশ ও হ্যাম রেডিও তাঁর সন্তান ‘ছটুয়া’-র খোঁজ চালাচ্ছে।

Comments :0

Login to leave a comment