PRICE AGIRICULTARAL WORKERS

গ্রামীণ শ্রমজীবীকে সইতে হচ্ছে চড়া দাম

জাতীয়

কৃষিক্ষেত্রে নিযুক্ত শ্রমিক এবং গ্রামাঞ্চলে শ্রমজীবীকে চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনের জিনিসপত্র। মে’র মূল্যবৃদ্ধির সরকারি তথ্য জানাচ্ছে যে কৃষিক্ষেত্রে শ্রমিকের জন্য মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৯৯ শতাংশ। গ্রামীণ শ্রমজীবীর ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৮৪ শতাংশ। 

এপ্রিলে কৃষিক্ষেত্রে শ্রমিকের জন্য মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৫০ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে শ্রমজীবীর ক্ষেত্রে হার ছিল ৬.৫২ শতাংশ। গত বছরের মে’তে এই দুই অংশকে ৬.৬৭ শতাংশ এবং ৭ শতাংশ হারে মূল্যবৃদ্ধি সহ্য করতে হয়েছে। 

অঙ্কের নিরিখে হ্রাস দেখিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম ব্যুরো বলেছে, চলতি মে’তে আগের মাস এবং গত বছরের তুলনায় মূল্যবৃদ্ধির বোঝা খানিক হালকা হয়েছে গ্রামাঞ্চলের এই অংশের। তবে সরকারি পরিসংখ্যানেই দেখা গিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা ৫ শতাংশ ছাড়ানো মূল্যবৃদ্ধির মাশুল দিতে হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের শ্রমজীবীকে.

গ্রামের শ্রমজীবীদের যে অংশ মুখ্যত কৃষিকাজে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে সংসার চালান তাঁদের কৃষি শ্রমিক হিসেবে ধরে শ্রম ব্যুরো। যে শ্রমজীবীর আয়ের প্রধান অংশ খেতের মজুরি থেকে নয়, তাঁদের গ্রামাঞ্চলের শ্রমিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

মে’তে কৃষি শ্রমিক এবং গ্রামাঞ্চলের শ্রমজীবীর ক্রেতা মূল্য সূচক ৬ এবং ৫ বিন্দু বেড়েছে। তার প্রধান কারণ চাল, ডাল, দুধ, শুকনো লঙ্কা, আদা, রসুন, সবজি এবং ফলের বেড়ে যাওয়া দাম। লেবার ব্যুরোর রিপোর্টেই জানানো হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে কৃষি শ্রমিকের ক্রেতা মূল্য সূচকে বাড়া কমা রয়েছে। ১১টি রাজ্যে বেড়েছে, ৮ রাজ্যে ১ থেকে ৫ বিন্দু কমেছে। কেবল হিমাচল প্রদেশে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। 

গ্রামীণ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে মূল্য সূচক ১২ রাজ্যে বিভিন্ন মাত্রায় বেড়েছে। ৭ রাজ্যে কমেছে। কেরালায় একই স্তরে স্থির রয়েছে সূচক।      

Comments :0

Login to leave a comment