একটার পর একটা কারখামা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। শ্রমজীবীর অধিকার কেড়ে নিচ্ছে দেশের সরকার। আর রাজ্যের সরকার অবিরত মদত দিচ্ছে লুটে। হত্যা করা হচ্ছে গণতন্ত্রকে। চাকরি লুট করে রাজ্যের যুবদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্দ্রে আসীন বিজেপি আর রাজ্যের তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জোরালো করতে ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সফল হবে।
ইনসাফ যাত্রায় অংশ নিয়ে এভাবেই লক্ষ্য জানিয়েছেন সিআইটিইউ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী। সোমবার সকাল থেকে পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে চলছে ইনসাফ যাত্রা। রাজবাঁধ থেকে দুর্গাপুর অভিমুখে চলেছে। পথ হাঁটছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি সহ ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ।
এদিন রাজবাঁধ হাটতলার জনসভায় ধ্রুবজ্যোতি সাহা বলেছেন, ব্রিগেড সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছে ডিওয়াইএফআই। কিন্তু আজকের লড়াই কেবল যুবরা করতে পারবে না। সমাজের সব অংশের সঙ্গে থেকে লড়ছে ডিওয়াইএফআই। তাই ব্রিগেড সমাবেশ জনতার।
সোমবার সারা দেশে শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুররা বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানীতে অবস্থান চালাচ্ছেন। ফসলের দামের জন্য আইন থেকে ন্যূনতম মজুরির নিশ্চয়তার দাবিতে মঙ্গলবার হবে ‘রাজভবন অভিযান’। কলকাতাতেও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ এবং সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকে হবে মিছিল।
চৌধুরী বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর শাসনে কারখানার সংখ্যা কমছে দেশে। বেকারি বাড়ছে। রেলের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সব ক্ষেত্র বিক্রি করে দিচ্ছে। এরা সুযোগ পেলে জাতীয় পতাকাও বিক্রি করে দেবে। আর রাজ্যের তৃণমূল সরকার শিল্পের সম্ভাবনা খতম করে দিয়েছে। অভাবনীয় দুর্নীতি চলছে। রাইসমিল মালিকদের সুবিধা করে দিতে কৃষককে লুট করে ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। যে মন্ত্রী ভাগ পেয়েছেন তাঁকে মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করছেন না মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতিতে মদত স্পষ্ট। দেশকে বাঁচাতে, রাজ্যকে বাঁচাতে এই দুই শক্তিকেই তাড়াতে হবে।
INSAF PASCHIM BARDHAMAN
দেশে-রাজ্যে বন্ধ কেন কারখানা, প্রশ্ন ছুঁড়ছে ইনসাফ যাত্রা
×
Comments :0