ইতিমধ্যেই এসআইআর’র খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়ায় শুনানি পর্বের জন্য বৃহস্পতিবার থেকেই নোটিশ পাঠানো শুরু হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। নোটিশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ভোটারদের সাত দিন সময় দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহ থেকেই শুনানি শুরু হতে পারে। ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ভোটারদের ক্ষেত্রে শুনানি কেন্দ্রে আসতে হবে না। সংশ্লিষ্ট ইআরও নিজে বাড়িতে গিয়ে শুনানি করবেন। সেই সময় উপস্থিত থাকবেন এএইআরও এবং সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলও। কোথায় কখন শুনানী হবে তা নোটিশেই বলে দেওয়া হবে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০০ জনকে নিয়ে শুনানি করতে পারবেন আধিকারিকরা। থাকবেন ইআরও, এইআরও’রা।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টের সঙ্গে কোনও রকম যোগসূত্র দেখাতে পারেন নি যে সকল ভোটার, তাঁদেরই প্রথমেই ডাকা হবে হিয়ারিং’য়ে। ২০০২ সালের ভোটার লিস্টের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র না থাকা মানুষগুলিকে বলা হচ্ছে নো-ম্যাপিং ভোটার। এই সংখ্যাটা প্রায় ৩০ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৭৩ জন বলে জানা গেছে কমিশনের তরফ থেকে। প্রথমেই তাঁদের সকলকেই নোটিস দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। পাশাপাশি খসড়া ভোটার তালিকায় রয়েছে এমন প্রায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ভোটারকে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কমিশনের। এনুমারেশন ফর্মে পাওয়া তথ্য সন্দেহজনক থাকায় তাঁদের তথ্য যাচাই করে দেখবেন বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও)-রা। যাচাই প্রক্রিয়ার পরও যে সমস্ত ভোটারকে নিয়ে কমিশনের সন্দেহের নিরসন হবে না, কেবল তাঁদেরই শুনানির জন্য ডাকা হবে। প্রতিটি বিধানসভার একাধিক জায়গায় শুনানি হবে। শুনানি পর্বে প্রামাণ্য নথি হিসাবে কমিশন ১৩টি নথির কথা আগেই উল্লেখ করেছে। প্রয়োজনে একাধিক নথি দেখাতে হতে পারে নো-ম্যাপিং বা সন্দেহজনক তালিকার ভোটারকে। জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিওর দপ্তরে হবে শুনানি কেন্দ্র। হিয়ারিং’র সময় সংশ্লিষ্ট ভোটারকেই উপস্থিত থাকতে হবে। যদি কোনও কারণে নির্দিষ্ট দিনে তিনি উপস্থিত থাকতে না পারেন, সেক্ষেত্রে তারিখ বদলানো যেতে পারে।
SIR
এসআইআর শুনানির নোটিশ পাঠানো শুরু!
×
Comments :0