ISLAMABAD HIGH COURT

ইমরানের গ্রেপ্তারি,
পাক সেনার সদর দপ্তরে আগুন

আন্তর্জাতিক

ISLAMABAD HIGH COURT গ্রেপ্তারির আগে হাইকোর্টে ইমরান খান। ছবি টুইটার থেকে।

ইমরান খানের গ্রেপ্তারির পাল্টা পাক সেনার সদর দপ্তরে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তাঁর দলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের স্বাধীনতার পরে এই প্রথম সেনার সদর দপ্তরে কোনও বিক্ষোভের আঁচ লাগল। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া একের পর এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাক সেনার সদর দপ্তরে ঢুকে পড়েন পাকিস্তান তেহরিক-ই -ইনসাফ বা পিটিআই’র কর্মী সমর্থকরা। সেখানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এর পাশাপাশি লাহোর, করাচি এবং পেশাওয়ার থেকেও পাক সেনার উপর হামলার খবর এসেছে। বহু ক্ষেত্রে সেনা অফিসারদের বাড়ি খুঁজে সেখানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে পিটিআই’র কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

অপরদিকে, ইমরানের গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন তুলল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।   আদালত পাক সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হলো কোন নির্দেশের ভিত্তিতে? প্রসঙ্গত এই আদালতের সামনে থেকেই মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয় খানকে। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দি ডন’ জানাচ্ছে যে ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধানকে তলব করেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, সচিব এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকেও তলব করা হয়েছে। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে সমন পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দু’টি মামলার শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন ইমরান খান। আদালতের বাইরে ছিল পাকিস্তানি রেঞ্জার্স এবং পুলিশের বাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছিল সাঁজোয়া গাড়িও। আদালতের প্রধান ফটক আটকে রাখা ছিল। ইমরানকে জবরদস্তি ধরে তোলা হয় বাহিনীর গাড়িতে। তার মধ্যে ইমরান খানের দল এবং পাকিস্তানের অন্যতম বিরোধী শক্তি পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি হয়। পিটিআই জানিয়েছে দলের একাধিক নেতা এবং ইমরান খানের আইনজীবী আহত হয়েছেন। 

বিদেশি রাষ্ট্রের থেকে পাওয়া উপহার ‘তোষাখানা’-য় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগে মামলা দায়ের হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যদিও বারবারই আদালতের সমন অগ্রাহ্য করছিলেন। লাহোরে জামান পার্কে তাঁর বাসভবনে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বাড়ি ঘিরে থাকা পিটিআই সমর্থকদের প্রবল বাধায় গ্রেপ্তার তখন করা যায়নি। 

ইমরানের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ওয়াজিরিবাদে হামলা হয়। তবে ইমরান অক্ষতই ছিলেন। দেশজুড়ে যদিও তাঁর সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। 

ইসলামাবাদ পুলিশ জানিয়েছে আদালত এবং সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। 

দেশের বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment