দু’দিন টানা চলছে বোমাবর্ষণ। ইজরায়েলের বাহিনী বিধ্বংসী হামলা বজায় রেখেছে গাজায়। গাজার প্রশাসন বুধবার জানিয়েছে যে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। আহত আরও ৫০০।
নিহতদের মধ্যে রয়েছে শিশু এবং নারীরা। রয়েছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ বলেছে, ‘নরক নামিয়ে আনা হয়েছে।’
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে বহু ভিডিও, ছবি। প্রিয়জনকে খুঁজতে ভিড় মর্গে। ভেঙে পড়া ঘর থেকে খোঁজ চলছে নিখোঁজ বহু নাগরিকের।
একটি মানবাধিকার সংস্থার কর্মী ক্যামে আবদু তাঁর বোন সহ গোটা পরিবারকে হারিয়েছেন হামলায়। ইজরায়েলের লাগাতার হামলা, কেবল এই দফায় নয়, বারবার মুছে দিয়েছে বহু পরিবারকে।
আবদু এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘ইজরায়েল আমার বোন এবং তাঁর শিশু সন্তানদের হত্যা করেছে। হত্যা করেছে তাঁর পুরো পরিবারকে। ইজরায়েল চাইলেই আমাদের হত্যা করতে পারে, আমাদের ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলতে পারে, কিন্তু আমাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে পারবে না কখনও।’’
ইজরায়েল যদিও, আমেরিকার মদতে, বেপরোয়া অবস্থানেই রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে এই সবে শুরু। যে কোনও সমঝোতা হবে আগুনের মধ্যে।
গাজার প্রতিরোধী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের এক নেতা তাহের আল নোনো বলেছেন, ‘‘আমরা তো আলোচনার দরজা সর্বদা খোলাই রেখেছি। সংঘর্ষবিরতির চুক্তি মানেনি ইজরায়েল। সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করেও একের পর এক হামলা চালিয়ে গিয়েছে। সে কারণে বন্দিদের ছাড়তে অস্বীকার করেছে হামাস।’’
প্যালেস্তাইনের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে যে গাজার জল এবং নিকাশি পরিকাঠামোর ৮৫ শতাংশ ধ্বংস করেছে ইজরায়েল। ৬৫ শতাংশ কমে গিয়েছে জল সরবরাহ। নতুন দফার হামলায় ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়বে।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে প্যালেস্তিনীয়দের তাড়িয়ে দখলের লক্ষ্য জানিয়েছিলেন সরাসরি। ইজরায়েলের এই হামলা ট্রাম্পের লক্ষ্যপূরণেই।
Gaza
‘আমাদের হত্যা করতে পারো চাইলেই, উচ্ছেদ তবু করতে পারবে না’

×
Comments :0