দেশের অতি বিত্তশালীদের ওপর সম্পদ কর বাসনোর দাবি জানালো পাঁচ বামপন্থী দল। কৃষকের জন্য ফসলে ন্যূনতম দাম নিশ্চিত করতে আইন পাশেরও দাবিও তুলেছেন বামপন্থীরা। ১৪-২০ ফেব্রয়ারি দেশজুড়ে প্রচারে নামার ডাকও দিয়েছে বামপন্থীরা।
১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার, সংসদে বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট নিয়েই সোমবার বৈঠক করে সিপিআই(এম), সিপিআই, সিপিআই(এম-এল) লিবারেশন, আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বাপন্থীদের দাবি, দেশের বিলিওনেয়ার বা একশো কোটির বেশি অঙ্কের সম্পদ রয়েছে মাত্র ২০০ জনের। এই অংশের ওপর সম্পত্তি কর চালু করা উচিত। বামপন্থীরা বলেছেন, সম্পদের ওপর ৪ শতাংশ হারে কর আদায় করা হোক।
অতি বিত্তশালীদের ওপর সম্পত্তি কর বসিয়ে আদায় অর্থ শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রগুলিতে খরচের দাবি বারবারই উঠছে। বিশ্বে সম্পদের বৈষম্যে সবচেয়ে ওপরে থাকা দেশ ভারত। অর্থনীতিবিদরাই বলছেন, বৈষম্যের কারণী বিপুল অংশের আয় এবং চাহিদার স্তর কম, ফলে দেশের ভেতরে বাজার বাড়ছে না। উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান মার খাচ্ছে।
বামপন্থীদের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন’-র মাধ্যমে বেসরকারিকরণ চলছে।
বিমা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতির বাতিল করার দাবিও তুলেছেন বামপন্থীরা।
বামপন্থীদের দাবি, একশো দিনের কাজে প্রকল্পে বরাদ্দ আগের বাজেটের ৫০ শতাংশ বাড়াতে হবে। উল্লেখ্য এই প্রকল্পে এবার এক পয়সাও বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করেননি সীতারামন।
বামপন্থীদের দাবি, শহরে কাজের নিশ্চয়তা চালু করা জরুরি। বার্ধক্য ভাতার মতো সামাজিক সুরক্ষার সব প্রকল্পে কেন্দ্রের অর্থ বাড়াতে হবে।
শিক্ষায় মোট জাতীয় উৎপাদনের ৬ শতাংশ এবং স্বাস্থ্যে ৩ শতাংশ অর্থ বরাদ্দের দাবিও তুলেছেন বামপন্থীরা। দাবি তুলেছেন রেশন ব্যবস্থায় ভরতুকি বাড়ানোর।
তফসিলি জাতি, আদিবাসী, মহিলাদের কল্যাণে যুক্ত প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে পাঁচ বামপন্থী দল। দাবি তুলেছে অঙ্গনওয়াড়ির জন্য বরাদ্দ বাড়ানোরও।
কেন্দ্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পে রাজ্যগুলির বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিও তুলেছে পাঁচ বামপন্থী দল। অর্থবিল গ্রহণের আগে এই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বামপন্থী দলগুলি।
Left Budget Campaign
বাজেট: সারা দেশে ১৪-২০ প্রচার অভিযানের ডাক বামপন্থীদের
×
Comments :0