Pathar pratima blast

সমস্যার কারণ সচেতনতার অভাব, পাথরপ্রতিমায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বলছে পুলিশ

রাজ্য

পাথরপ্রতিমায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের মুখে ফের শোনা গেলো সচেতনতার কথা। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘‘কী ভাবে আগুন লেগেছে যারা জানে তারা সবাই মৃত। তাই বিষয়টা জানার জন্য ফরেন্সিক দল কাজ করছে। তাদের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করতে হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বড় কাজ হচ্ছে সচেতনতা তৈরি করা, যাতে লোকালয়ে বাজি কারখানা বা বাজি স্টোরেজ না হয়। শর্ট সার্কিট বা অন্য কোন কারণে আগুন লাগলেও যাতে প্রাণহানি কমানো যায় তা দেখতে হবে। বাড়ির মধ্যে শিশুরা আছে একদিকে গ্যাস জ্বলছে অন্য দিকে বোমা বাজি মজুত করা আছে এটা করতে সচেতনতা দরকার।’’
তিনি দাবি করেন কার বাড়িতে কোথায় কি হচ্ছে সব পুলিশের পক্ষে নজর রাখা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য এই ঘটনায় ওই বাজি কারখানার মালিকের বড় ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুপ্রতিম সরকার জানান ওই ব্যাক্তিকে ২০২২ সালে বেআইনি বাজি মজুত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এখান থেকেই প্রশ্ন যেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বেআইনি বাজি মজুত রাখার অভিযোগ পূর্বে ছিল তার বাড়ি বা কারখানার ওপর কেন নজর রাখেনি পুলিশ। এছাড়া দিনের পর দিন কি ভাবে বসতি এলাকায় চলতে পারে একটি বাজি কারখানা তা নিয়েও আছে প্রশ্ন। 
সুপ্রিম সরকারের তার দাবি টিটাগড় বা ডায়মন্ড হারবারে এই ধরনের ঘটনার পর পুলিশ সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। একা পুলিশের পক্ষে সকলকে সচেতন করে তোলার কাজ কঠিন। তিনি জানিয়েছেন পুলিশের প্রধান লক্ষ এই ধরনের দাঘ্য পদার্থের নিরাপদ মজুতের ব্যবস্থা করা, লোকালয়ের বাইরে সেই কাজ করার।
উল্লেখ্য রাজ্যে একাধিক বাজি কারখানায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের ঘটনার পর বার বার পুলিশ এবং প্রশাসনের বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুপারিশে করা হয়েছে কিন্তু তার একটাও বাস্তবায়িত করা হয়নি।
এর আগে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে স্থানীয়রা এই ধরনের কারখানার বিরুদ্ধে পুলিশে অভযোগ জানাতে গেলে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কোথাও দেখা গিয়েছে পুলিশের সাথে যোগাযোগ রেখেই কারখানা চলেছে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এই সব কারখানার ওপর হাত থেকেছে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের।

Comments :0

Login to leave a comment