LEFT PARTIES PARLIAMENT BUILDING

পদকজয়ীদের ফেলে পিটিয়ে যেন রাজার অভিষেক! ধিক্কার বামপন্থীদের

জাতীয়

LEFT PARTIES PARLIAMENT BUILDING যেন রাজ অভিষেক, রবিবার নতুন সংসদভবনে।

রাজদণ্ড নিয়ে পুরোহিত ডেকে পুজোপাঠ চলছে সংসদভবনে। সংসদভবনে গণতন্ত্র নিয়ে উপদেশ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আরেকদিকে, সংসদভবনের কিছু দূরেই মাটিতে ফেলে পেটানো হচ্ছে পদকজয়ীদের। সরকারের ঘৃণ্য চেহারা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। 

সরকারের ভূমিকায় ধিক্কার জানিয়ে এই ভাষাতেই ক্ষোভ জানালেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। ক্ষোভ জানিয়েছেন সিপিআই নেতা এবং সাংসদ বিনয় বিশ্বম, সিপিআই-এমএল সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যও। 

রবিবার বৈদিক মন্ত্রক উচ্চারণ করে কর্নটকের শ্রীনগেরি মঠের পুরোহিতদের ডেকে ‘গণপতি হোমম’ যজ্ঞ করেন। তুলে নেন রাজদণ্ড সেঙ্গোল। পুরোহিতদের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। 

কুস্তিগিররা দীর্ঘ সময় ধরে দিল্লির রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি সাংসদ এবং কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের গ্রেপ্তারির দাবিতে। আদালতের হস্তক্ষেপে অভিযোগ দায়ের হলেও গ্রেপ্তার করা হয়নি অভিযুক্তকে। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নীরব। এদিন সংসদ ভবন অভিমুখে সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগট, বজরঙ পুনিয়াদের সঙ্গে বহু মানুষ ‘মহিলা সম্মান পঞ্চায়েত’ ডেকে মিছিল করেন। মাটিতে ফেলে পদকজয়ীদের ধরপাকড় করে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গে সোম ও মঙ্গলবার মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে এসএফআই। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ। 

ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘মোদীর ‘নতুন ভারত’ রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিয়ে, বিরোধীদের বাদ দিয়ে নতুন ভবনের উদ্বোধন করল। ভারত অর্থ দেশ এবং তার নাগরিকরা। ‘নতুন ভারত’ মানে রাজা এবং প্রজারা।’’ 

ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘সেঙ্গোল রাজরাজড়াদের সময়ের রীতি। সামন্তরাজা, সম্রাটদের রীতি। এই রাজারাজড়াদের শাসন ছুঁড়ে ফেলে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সাধারণতন্ত্র গড়েছেন দেশের মানুষ। সব নাগরিক সেখানে সমান। গণতন্ত্রে রাজদণ্ডের ভূমিকা নেই। গণতন্ত্রে মানুষ নির্বাচন করে সরকার গড়ে।’’ 

বিশ্বম বলেছেম, ‘‘সংসদের উদ্বোধনই বলে দিচ্ছে উদ্দেশ্য কী। নির্দয় কর্তৃত্বমূল ফ্যাসিবাদী কায়দায় চলবে সরকার।’’ দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘দিল্লিতে কুস্তিগিরদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চলছে। আর সংসদে যেন রাজার অভিষেক হচ্ছে।’’  

 

Comments :0

Login to leave a comment