brigade other state

ব্রিগেডের টানে রথীশরা বাইরের রাজ্য থেকে

কলকাতা

ব্রিগেডে তামিলনাডুর রথীশ। (পাশের ছবি) হাজির হাঙ্গেরি থেকে আসা তিন বন্ধু।

শুভঙ্কর দাস

উপচে পড়া ভিড় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ। রবিবারের ব্রিগেড যেন যৌবনের জ্বলন্ত শিখা। 
ডিওয়াইএফআই’র ডাকে এই ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্য জুড়েই আলোড়ন পড়েছে। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস রাজ্যের সীমানাও পেরিয়ে গিয়েছিল। 
যেমন, ঝাড়খন্ড নিবাসী বামপন্থী কর্মী মীরা ভট্টাচার্য। গোটা পরিবার নিয়ে রবিবার হাজির হয়েছিলেন ব্রিগেডের মাঠে। বললেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে সুস্থ রাজনীতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ব্রিগেডে এসেছি। মীনাক্ষী মুখার্জিদের ডাকে চলে এসেছি।’’
আবার তামিলনাড়ু থেকে এসেছিলেন বামপন্থী কর্মী রথীশ এবং তাঁর বন্ধুরা। সকাল ১১টায় সোজা হাজির ব্রিগেডের ময়দানে এবং হাতে লাল পতাকা। জানালেন, ‘‘খুব ভালো লাগছে। এত নতুন ছেলেমেয়েরা এসেছে। দারুণ একটা পরিবেশ। বামপন্থী সংগঠনেই এমন সম্ভব।”
এইরকম অজস্র উদাহরণ তৈরি হয়েছে রবিবারের ব্রিগেড জুড়ে। হাঙ্গেরি নিবাসী তিন বন্ধু এসেছেন কলকাতা ঘুরতে। তাঁরাও উপস্থিত ডিওয়াইএফআই’র ডাকে ব্রিগেডে। বামপন্থী কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে তুললেন সেলফিও। 
অন্যদিকে, তাহেরপুর থেকে আসা কর্মী এবং সমর্থকরা তাহেরপুর পৌরসভার একটি রেপ্লিকা বানিয়ে নিয়ে আসেন। প্রসঙ্গত, বামপন্থী বোর্ড রয়েছে এই পৌরসভাতেই। তাঁরা জানালেন, "আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জারি রেখেছি।"

কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মিছিলে স্লোগানের সঙ্গেই দেখা গিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী অভিনব সব টিফো। রবিবাসরীয় ব্রিগেডের মাঠে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গান ধরলেন অধীন দাস বাউল। 
সেইসঙ্গে জেলা থেকে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকের মুখেই উঠে এসেছে চাকরি না পাওয়ার হতাশা। সঙ্গে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আকাঙ্ক্ষা। কারও কারও এলাকায় রাজ্য সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির জেরে, নানা অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে। জানালেন বহু মানুষ।   
স্বভাবতই, রবিবারের ব্রিগেড আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠছিল জনতার ব্রিগেড এবং অবশ্যই হক আদায়ের এক জ্বলন্ত মঞ্চ।

Comments :0

Login to leave a comment