মণ্ডা মিঠাই | নতুন বন্ধু | নতুনপাতা
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস
দেবমাল্য সরকার
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ দিনটিতে প্রখ্যাত ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামান এর রামান এফেক্টের আবিষ্কারের সম্মানে সারা দেশে পালন করা হয়। ১৯২৮ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারিতে রামান এই ঘটনা আবিষ্কার করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা যোগাযোগ (NCSTC) ভারত সরকার এর কাছে ২৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে স্বীকৃত দেয়ার জন্য আবেদন করে । পরে সরকার এই আবেদনের অনুমোদন দেয়। নিত্য নতুন সমস্ত সত্যের সন্ধানে বিজ্ঞানীরা সারা বছর ধরে নিবিড় অনুসন্ধানে লেগে রয়েছেন এবং সমস্ত সত্যকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন ব্যবহারিক জিনিস আবিষ্কার করে চলেছেন। আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পর্যন্ত যা যা ব্যবহার করি তার সব বিজ্ঞানের দান। আমরা বিজ্ঞানের প্রযুক্তিগত বিভিন্ন আবিষ্কারের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ভর হয়ে থাকি। আর এক কথায় আমরা বলতে পারি যে, বিজ্ঞান ছাড়া আমাদের জীবন অচল। দিনের শুরুতেই ঘড়ি আমাদের বুঝিয়ে দেয় সময়ের সংকেত। রান্নার বিভিন্ন প্রক্রিয়া বা প্রত্যেক ধাপকে সহজ থেকে সহজতর করে তোলে। আগেকার দিনে অনাবৃষ্টির কারণে খরা হত। সেই বছরে ফসল হতো না। কিন্তু এখন বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন পদ্ধতিতে ভৌম জল ব্যবহারের কৃষি কাজ করা সম্ভব হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বীজ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক এবং অত্যাধুনি যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হওয়ার ফলে কৃষি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
বিদ্যাসাগরের জীবনে বিভিন্ন কাহিনী পড়ে জানা যায় যে তিনি রাস্তার ধারে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় বসে পড়াশোনা করতেন। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতি সঙ্গে সঙ্গে এখন প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সহজলভ্য হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় কম্পিউটারকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি করা হচ্ছে তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘরে বসে পড়াশোনা করার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বিজ্ঞান এতই উন্নত হয়ে গেছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে কোন জরুরীকালীন প্রস্তুতিতে একজন ডাক্তার দূর থেকে বসে একটি কম্পিউটারের সাহায্যে যেকোনো ধরনের ছোট থেকে বড় অপারেশন করে ফেলছেন । এই পদ্ধতি হল রোবোটিক সার্জারি। ২০২৫ সালের জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে আমরা দেশের বৈজ্ঞানিক সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করি যাতে তারা পরবর্তীকালে এইভাবে বিভিন্ন আবিষ্কারের মাধ্যমে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।
দশম শ্রেণী
কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
পূর্ব কল্যাণ নগর, খড়দহ উত্তর ২৪ পরগনা
৯৪৫১৩১৯৪৬৮
Comments :0